Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

এক শতাংশ ধনিক শ্রেণির হাতে জিম্মি বিশ্বের উন্নয়ন মডেল: বন্দনা শিবা

Icon

জাফর খান

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ১৪:৪৫

এক শতাংশ ধনিক শ্রেণির হাতে জিম্মি বিশ্বের উন্নয়ন মডেল: বন্দনা শিবা

বন্দনা শিবা। ছবি: সংগৃহীত

বন্দনা শিবা একজন ভারতীয় পণ্ডিত, পরিবেশবাদী সক্রিয়কর্মী, খাদ্য সার্বভৌমত্বের প্রবক্তা এবং পরিবর্তিত বিশ্বায়নের লেখিকা হিসেবে সুপরিচিত। তার জন্ম ভারতের দেরাদুনে ১৯৫২ সালে। বাবা ছিলেন বন সংরক্ষক ও মা প্রকৃতিপ্রেমী একজন কৃষিজীবী। বন্দনা চন্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক এবং ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর লাভ করেন।

পরে ১৯৭৭ সালে গুয়েলফ (অন্টারিও) বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান দর্শনে এমএ পড়তে পাড়ি জমান। সেই সুবাদে ১৯৭৮ সালে ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পদার্থবিদ্যা দর্শনের ওপর মনোনিবেশ করেন। শিবা বর্তমানে দিল্লিতে নবদন্য গবেষণা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি ২০টিরও অধিক বই লিখেছেন।

বন্দনা শিবা বিশ্বায়নের আন্তর্জাতিক ফোরামের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি পরিবর্তন-বিশ্বায়ন আন্দোলন ও বৈশ্বিক সংহতি আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৯৩ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কারে ভূষিত হন, যা বিকল্প নোবেল পুরস্কার হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। লেখাটি ভাষান্তর করেছেন: জাফর খান

প্রচলিত পুঁজিবাদ ব্যবস্থায় বহুল প্রচলিত ‘উন্নয়ন’ ও মোট ‘দেশীয় পণ্য বা জিডিপি’ নামক সনাতনী পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে মানবতার ঝাণ্ডা হাতে পৃথিবী নামক গ্রহে বাসরত মানুষগুলোকে বাঁচানোর উপযুক্ত সময় হয়তো এখন। কারণ সব ক্ষেত্রে আমাদেরকে মানুষ হিসেবে মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবতে হবে।

আর এ প্রসঙ্গে লেসেম ও স্কিফার তাদের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ইন্টিগ্রাল ইকোনোমিকস’-এ যথার্থই বলেছেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার জনকেরা অর্থনীতির ক্ষুদ্রতম একক হিসেবে বুর্জোয়া ব্যবস্থায় একজন নারীকে (মা জাতি) যদি অর্থনীতির ভিত হিসেবে বেছে নিতেন তবে হয়তো এ ব্যবস্থায় স্বার্থপরতার মাত্রা লাঘব হতে পারত। 

মূলত পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে যুদ্ধ আর সংঘর্ষের এমন এক রূপে আচ্ছাদিত করা হয়েছে যেটিকে প্রকৃতি, বহুমাত্রিক সংস্কৃতি আর নারীবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থানের ভিত্তিপ্রস্তর ছাড়া কিছু বলা যায় না। 

পুঁজিবাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষ ও প্রকৃতিসৃষ্ট সম্পদের ওপর একচ্ছত্র মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। এখানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা অর্থনৈতিক কল্পকাহিনি আবিষ্ট কিছু বস্তুগত প্রক্রিয়া বাজার ব্যবস্থায় প্রতিস্থাপিত হয়ে আসছে দিনের পর দিন। পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধে গড়া পুঁজিবাদের মিশ্রণ থেকে উদ্ভ‚ত দৃষ্টান্তের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো বিচ্ছেদ। 

আর এই বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াটি দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপ অনুসারে মানুষ প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও দ্বিতীয় ধাপে আবার সেই মানুষকে লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণিভেদে পৃথক করা হয়। আন্তঃসম্পর্ক বনাম পরস্পর সংযুক্ত এমন ভাবনা থেকেই বিচ্ছেদ, হিংসা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। এটি প্রথমে মানুষের ভাবনায় বাসা বাঁধে এরপর ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দৈনন্দিন কর্মে। 

সনাতনী পদ্ধতির এই সামাজিক বৈষম্যকে একটি নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেওয়ার কোনোরকম যুক্তি বৈশ্বিক পুঁজিবাদীর প্রবর্তকরা দেখাতে পারবেন না। বরং হালের কর্পোরেট বিশ্বায়নের যুগে এই বৈষম্য আরও নতুনরূপে এক নৃশংস রূপ নিয়েছে যার শিকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ছাপোষা মানুষগুলো। 

সামনের অবস্থা হয়তো আরও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। কারণ প্রচলিত অর্থনৈতিক সূচকে এটা স্পষ্টতর হতে চলেছে যে, শিগগিরই বিশ্ব জনসংখ্যার ১ শতাংশ বিত্তবানেরা অবশিষ্ট ৯৯ শতাংশ মানুষের সকল সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। 

বর্তমানে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড বলে খ্যাত শোষণের হাতিয়ার হিসেবে পরোক্ষভাবে কাজ করে যাওয়া ধারণাটি হয়তো আইনগতভাবে ব্যক্তি অধিকার রক্ষায় কাজ করছে বলে দাবি তুললেও প্রকৃতপক্ষে সম্পদ সৃষ্টির প্রকৃত উৎস থেকে তা এগিয়ে নিয়ে সুচারুরূপে কীভাবে নতুন শোষণ ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা যায় সেটিরই ইঙ্গিত বহন করে। 

অর্থই এখন সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে মূলধনের স্থানটি দখল করে নিয়েছে। আর এই সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ধনী ব্যক্তিদেরকে সম্পদ আহরণের এক বিশাল উপায় করে দিয়েছে।পাশাপাশি বাণিজ্যিক অর্থনীতিতে অর্থ উপার্জন মূলত ভবিষ্যতের লাভের আশার ওপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে ধনীদের অন্য লোকের কষ্টার্জিত মজুরি ব্যবহারের সুযোগ এনে দিয়েছে। ফলে প্রবৃদ্ধির ধারণাটি ব্যক্তি ও সরকারের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হলো উন্নয়নের একটি রূপ যা উন্নয়নের সংকটের কথা বলে থাকে। মূলত এটির মোড়কে ধনীকে আরও ধনীতে পরিণত করার এক অভিনব উপায়। 

‘প্রতিবেশ’ এবং ‘অর্থনীতি’ উভয়ই গ্রিক শব্দ ‘ওইকোস’ থেকে উদ্ভ‚ত হয়েছে যার অর্থ বাড়ি এবং উভয় শব্দই পারিবারিক ব্যবস্থাপনার একটি রূপকে বোঝায়। অর্থনীতি যখন প্রতিবেশ বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে, তখন পৃথিবী নামক আমাদের প্রিয় বাসস্থানটি অব্যবস্থাপনার মুখোমুখি হয়ে পড়ে। 

জলবায়ু, পানি, জীব বৈচিত্র্য, খাদ্য সংকট পৃথিবী ও তার সম্পদের অব্যবস্থাপনার এক ভয়াবহ লক্ষণ। মানুষ প্রকৃতিকে প্রকৃত মূলধন ও তা থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সম্পদকে উৎস হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে, পৃথিবীর সম্পদের সুষম বণ্টনকে করে তুলছে ক্রমাগত অব্যবস্থাপনাময় একটি ভঙ্গুর ভিত্তির রূপকার হিসেবে। এতে বাস্তুসংস্থানের প্রক্রিয়াগুলো হচ্ছে ধ্বংস। 

প্রকৃতি এবং তার পরিবেশগত বাস্তুবিদ্যার সঠিক প্রক্রিয়া ছাড়া মানুষের জীবনের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, অনুরূপ মারাত্মক অর্থনীতির পতনের পাশাপাশি সভ্যতাগুলোও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সমসাময়িক নব্য-উদারতাবাদী উন্নয়ন মডেলের অধীনে দরিদ্ররা আরও দারিদ্র্যকে বরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ ১ শতাংশ ধনিক শ্রেণি তাদের জীবিকা ও সম্পদ দখল করে রেখেছে। এর প্রতিফলন মধ্যপ্রাচ্যের রোজাভা এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতির জ্বলন্ত উদাহরণ। 

অন্যদিকে কৃষকরা আরও দরিদ্র হচ্ছে। কারণ এই ১ শতাংশ মানুষই দামি বীজ আর রাসায়নিক সার ক্রয়ের ওপর ভিত্তি করে একটি শিল্পভিত্তিক কৃষিকে উৎসাহিত করে তাদেরকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। ফলে এ ব্যবস্থায় চাষিদের মাটি, পানি, জীববৈচিত্র্য আর স্বাধীনতা কালক্রমে ধ্বংসের দিকে প্রবহমান। 

আমার রচিত ‘আর্থ ডেমোক্রেসি’ বইতে আমি দেখিয়েছি কীভাবে মনসান্টো কর্পোরেশন প্রকৌশলগত বিটি তুলার অতি বিপণনের মাধ্যমে তুলা বীজ সরবরাহের ওপর একচেটিয়া দখলদারিত্ব বাগিয়ে নিয়েছে। এই ব্যয়বহুল জিএমও প্রযুক্তিসম্পন্ন বীজ ও অন্যান্য তথাকথিত সবুজবিপ্লব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বাধ্যতামূলক ঋণ গ্রহণে। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় ৩ লাখ ভারতীয় কৃষক গত দুই দশকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ঋণ শোধে অক্ষম হয়ে। এসব বেশিরভাগ আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেছে তুলার বেল্টে। 

এই সহিংস একচেটিয়াদের মোকাবিলার জন্য আমি নবদন্য নামে একটি গ্রামীণ গবেষণা খামার প্রতিষ্ঠা করেছি। যেখানে বীজ বিতরণের জন্য নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জাতের জৈব তুলার সংরক্ষণ করা হয়। 

বর্তমান বিশ্বের বহুল প্রতিষ্ঠিত কৃষি পণ্য বিক্রিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ যথা-মনসান্টো বেয়ার, ডাউ ডুপন্ট এবং সিনজেনটা কেমিক্যাল চায়নার দখলে রয়েছে কৃষি পণ্যের বাজার। যার দরুন কৃষকরা এসব আধুনিক কৃত্রিম কৃষি পণ্য কিনতে হিমশিম খেয়ে আরও দারিদ্র্যের দিকে হাঁটছে। মূলত কৃষকদের অনেকটা বাধ্য করেই এসব প্রতিষ্ঠানের দামি বীজ এবং রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কেনার ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে। 

আর এসব সমন্বিত কর্পোরেশন জাঙ্ক ফুডের প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও বীজ সরবরাহকে সামনে রেখে কৃষকদের উৎপাদিত মূল্যের ৯৯ শতাংশই চুরি করছে যা বাজার বিশ্লেষণে স্পষ্টতর প্রমাণ হয়েছে।

ফলশ্রুতিতে মুক্ত বাণিজ্যের ধুয়া তুলে ডাম্পিং ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকেরা আরও দরিদ্র হচ্ছে। অথচ পরিবেশগত বিবেচনায় ক্ষতিকারক এসব বাণিজ্যিক সংযোজন যেমন- সার, কীটনাশক এবং জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ারড বীজ ব্যবহার না করেও প্রান্তিক চাষিরা বড় খামারিদের চেয়ে বেশি উৎপাদনে সক্ষম। এ প্রসঙ্গে গেøাবাল কৃষক ইউনিয়ন বলছে, কৃষির ঐতিহ্যগত সনাতনী উপাদানগুলো কৃষকদের মধ্যে উৎপাদনের স্বায়ত্তশাসন প্রদানের পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবগুলো কমাতেও সাহায্য করে। 

তবে এটা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধিমূলক অর্থনীতি গভীর জীবনবিরোধী একটি উপাখ্যান মাত্র আর কিছু নয়। এমনকি এর অনেক প্রভাব বিশ্বের উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষদের ক্ষতির অন্যতম কারণও বলা যেতে পারে। 

ফিলিপাইনের একটি এনজিও আইবোন ইন্টারন্যাশনাল এ বিষয়ে বলছে, পূর্বে পিতৃতান্ত্রিক সহিংসতার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যগতভাবেই নারীকে শুধু উৎপাদনশীল কর্মী ও প্রজনন সংস্থা রূপে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আর বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের জন্য পুরুষালী সহিংসতাকে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ধ্যান ধারণার আধুনিক সংযোজন হিসেবে। 

বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের মতো দাতা গোষ্ঠীগুলোর ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন এবং জ্বালানির জন্য তথাকথিত ১ শতাংশ ধনিক শ্রেণির হাতে বন্দি সরকারগুলো তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে লাভজনক বেসরকারিকরণ নীতি আরোপের ফলে সর্বত্র মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে। 

আর যা আধিপত্যশীল পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক অর্থনৈতিক প্যারামিটারের মাধ্যমে শ্রমিক, কৃষক, গৃহিণী এবং প্রকৃতিকে উপনিবেশে পরিণতের এক সভ্য বিশ্বের অসভ্য নামের নতুন হাতিয়ার বলা যায়। শুধু পরিবর্তিত হয়েছে খোলস, রূপ এসেছে নতুন মাত্রার কিছু আধুনিক শব্দচয়নে, যাতে নির্যাতিতদের কাছে এ বার্তা পৌঁছায় ভিন্ন মাত্রায়। 

মূলত বিশ্বায়নের এই পুঁজিবাদী উন্নয়ন মডেলটি প্রাচীন পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতির শক্তির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে একটি নব্য উদারতাবাদী রুল অব মানি তত্ত¡কে আরও সুস্পষ্টভাবে একটি হাইব্রিড ধারণার জন্ম দিয়েছে।

* ইন্টারন্যাশনাল সোশিওলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএস‌এ) এর ত্রৈমাসিক পত্রিকা  ডায়ালগ এর ১৩তম সংখ্যা, নম্বর ১ থেকে অনূদিত।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫