
প্রতীকী ছবি
আরেকটা প্রেমের গল্প দেখতে দেখতে
আমার বেগুনি শাড়ির পাশে তোমার বসে থাকা
ক্যামেরার চোখ নেই, কোনো মুভ অন নেই
নেই বিশেষ দিন মনে রাখার আদিখ্যেতা
জন্মদিন আসে, যেমন আসে বছরান্তে মৃত্যু
একটা আটপৌরে অখাদ্য দিনে স্লোগানমুখর
ফাঁকা আওয়াজ চিবিয়ে খাচ্ছে আমাদের মাথা
কফির কাপে নত হয়ে আছে তোমার গোল ঠোঁট
বেজে চলেছে কার যেন আরেকটু গোপন সঙ্গত
সেতুর এপারে দাঁড়িয়ে আছে সিদ্ধান্তহীনতা
ধামাচাপা দেয়া সব বাসনা
ওপারে ঋজু এক ছায়া, নেই কোনো সংকট
মৃতপ্রায়
প্রথম চিড় ধরাটা বোঝা যায় না
আলিঙ্গনে, ক্ষমা প্রার্থনায়,
সব ঠিক করে দেবার প্রতিজ্ঞার
প্রলেপ কিছুদিন সামাল দেয়
বাড়তে থাকে চিড়
সম্পর্কের দেয়ালের ফাটল
অল্প উষ্ণতা বা আর্দ্রতার
ছোঁয়া হয় অপ্রয়োজন
সম্পর্ক ভেঙে গেলে তড়পায়
চোখের নিচে জলের আঘাত
বাড়ি কিংবা ঘর
কতবার আকাশ সবুজ পাতার আড়ালে আলোর ঝিলমিল চোখে নামিয়ে
এনেছে ঘুম...বামদিকের দোতলা রাস্তার কাতর গল্পগুলো আমাদের বলা
হয়ে ওঠে না। ডানদিকে- ঘোড়েল পথ নিয়ে যাবে খাদের মুখে যেখানে
গল্প পেতেছে অলৌকিক বৃষ্টিভেজা মুখ...
তুমি বসে থাকো বৃদ্ধদের মাঝে। তাদের পায়ে ক্লান্ত সবে সান্ধ্য ভ্রমণ।
কারো কাছেই যেন কারো বাড়ি ফিরে আসে না, কারো ফেরা হয় না ঘর।
(ধোঁয়াশায় রয়ে গেল আজও কোনটা বাড়ি আর কোনটা ঘর!)
কীইবা হবে!
চাই বা না চাই তোমারও দিন ফুরায়
আমি পাখি নীড়ে ফিরি,
তুমি অবেলায়
মুছে দিবে আমাদের সব কথা
আরও কটা দিন পরে তুমি আবার
গাইবে গান
পাখি উড়ে যাওয়ার কিংবা নদীর
যারা যায় তারা সবকিছু নিয়েই যায়
ফেরার নাম নেই তাই
কোথাও না কোথাও
এভাবেও মরে যাওয়া যায়