
প্রতীকী ছবি
এক
অথচ কাছে যাচ্ছি না
শব্দে ছন্দে আলোক চক্রে
পাথরের নেশায় আক্রান্ত জ্বর
কাছেই। কপালে নিচ্ছি না
ক্রমাগত এগিয়ে আসছে ফেনা
অলিতে গলিতে পাটিগণিতের ‘প’
বীজ
গণিতের ক্রসকাট
দুই
কিছু না কিছু কুড়িয়ে আনছি
যতবার কাছে যাচ্ছি
কয়েকটি ঝিনুক
শামুকের ভেতর
আরো কিছু বালি
ঝড়। আহ।
আসানের স্বরলিপি
তিন
এক গোছা ফুল একটা হাতে বসে
হাঁটতে হাঁটতে ফকিরাপুলের দিকে গেল
খবর পেয়ে পানির ট্যাঙ্কি
ঠিকানা বদল করে চলে গেল চাঙ্খারপুল
ফুলটা কোথায় যাবে
বলতে অপারগ
হাত।
চার
একদিন আমাকে জিজ্ঞেস কোরো
আমি কেমন আছি
তোমার থাকা আবার কী?
তুমি কি আমি। আমি যেমন মাছি। আমি যেমন মশা।
আমি যেমন ব্যাঙ। যেমন আমি পিঁপড়ের সারি
চীনের প্রাচীর বেয়ে মহাশূন্যের দিকে উঠে যাই
তুমি তা পারো না
ন্যূনতম মাহাত্ম্য বোঝ না
শূন্যতার ।
পাঁচ
চারআনার চকলেট
আটানার কুলফি মালাই
ছয় আনার চারু
নয় আনার কারুকলা
আরেহ তোমাকে তো বায়োস্কোপের মতন লাগছে
তাকাও। আদরে তাকাও।
বিনিয়োগ আর বন্দুকের নালায়
রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করো কিনা সন্দেহ জাগে।
ছয়
দলা দলা খুনের ভেতর খুঁজতে থাকি একটি সূর্য।
আর একটি চাঁদ।
ঢাকার আকাশে ঝকঝকে রোদ।
আমাদের চার হাতে জড়িয়ে আছে একটি দেবশিশু।
কন্যা নাকি পুত্র নির্ণয় করা সম্ভব হলো না।
আঙুলের ভেতরে ঢুকে গেছে আঙুল।
সাত
বহুদনি পড়ে থাকা
বেওয়ারিশ কুকুরটাকে টেবিলে বসাই
পরম যত্নে ওর হৃৎপিণ্ড খুলে
দেখি
একটি মায়াবী ঝিনুক
আর তারও অভ্যন্তরে
ক্রন্দনরত দুটো মুক্তোর দানা
খুলে দেখার মতন কোনো মানুষ অবশিষ্ট ছিল না।
আবুল হাসান।