Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

মাইকেল ক্রিচটন ও ‘বদ’ প্রফেসর

Icon

শোয়াইব আহম্মেদ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫

মাইকেল ক্রিচটন ও ‘বদ’ প্রফেসর

মাইকেল ক্রিচটন। ছবি: সংগৃহীত

লেখক-শিল্পীদের জীবনে অসংখ্য আনন্দ-বেদনার ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণ মানুষের তা অজানা থেকে যায়, কোনো কোনো লেখক কখনো কখনো তা বলেন আর তা শুনে আমরা আনন্দ পাই, বিষাদিত হই।

এমনই জনপ্রিয় এক লেখক, যিনি সকলের প্রিয় মাইকেল ক্রিচটনের মজার ঘটনা নিয়ে লিখছেন শোয়াইব আহম্মেদ।

মাইকেল ক্রিচটন, জুরাসিক পার্কের লেখক। তরুণ বয়স থেকেই তার সাহিত্যিক হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছে থেকেই লিটারেচারে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করতে ভর্তি হলেন হার্ভার্ড কলেজে। ক্রিচটনের মতে তার কোর্স টিচার ছিল একজন বদ প্রফেসর। প্রফেসর ক্রিচটনকে দেখতে পারতেন না নানান কারণে। সব পরীক্ষায় কম নম্বর দিতেন। এই ঘটনা ক্রিচটন আরেক প্রফেসরকে বললেন। প্রফেসর বললেন, ‘বিশ্বাস করলাম না, তোমাকে ইচ্ছে করে নম্বর কম কেন দিবেন। এসব আজেবাজে কথা রেখে পড়ালেখায় মন দাও।’ ভালো প্রফেসরের এই কথায় ক্রিচটনের রাগ হলো। তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে। আপনাকে প্রমাণ করে দিব।’ 

কিছুদিন পর কোর্সের অংশ হিসেবে একটা প্রবন্ধ পাঠানোর কথা ছিল সেই বদ প্রফেসরের বরাবর। মাইকেল ক্রিচটন তখন জর্জ অরওয়েলের একটা প্রবন্ধ সাবমিট করলেন নিজের নামে। প্রফেসর তার স্বভাবমতো এই অরওয়েলের প্রবন্ধতেও দিলেন বি মাইনাস। ক্রিচটন তা নিয়ে গেলেন সবার কাছে। সবার সামনে তুলে ধরলেন বদ প্রফেসরের বদমায়েশী। এই ঘটনার পর ক্রিচটনকে ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তন করতে হয়। সবশেষে এনথ্রোপোলজি থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করেন। 

ক্রিচটন পরে পৃথিবীর বিখ্যাত লেখক এবং ডিরেক্টর হন। পাঁচটা বিয়েও করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫