Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

‘ইওর কোট হ্যাজ গান টু ব্রিং মাই চাদর’

Icon

শোয়াইব আহম্মেদ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৫

‘ইওর কোট হ্যাজ গান টু ব্রিং মাই চাদর’

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ছবি: সংগৃহীত

উনিশ শতকের বাংলার অন্যতম ঋজু মানুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক। বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা। যিনি দানবীর এবং দয়ার সাগরও বটে। আজও বাঙালিজীবনের মিথ হয়ে আছে তার বিদ্যার্জনের গল্প, মায়ের ডাকে সাঁতরে নদী পার হওয়ার কাহিনি। চালচলনে, পোশাকে-আশাকে কোনো বাহুল্য ছিল না। ‘যশুরে কৈ’ ঈশ্বরচন্দ্রের রসবোধ ছিল প্রবল। কাছের মানুষদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মজা করতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের রসবোধের দুটি ঘটনা জানাচ্ছেন শোয়াইব আহম্মেদ... 

এক
একদিন ট্রেনে কোথায় যেন যাচ্ছিলেন। সহযাত্রী এক ইংরেজ যুবক বিদ্যাসাগরের বেশভূষা দেখে ভীষণ চটে গেল। বিদ্যাসাগর একসময় বাথরুমে গেলে সাহেব তার ময়লা চাদর জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন।

ফিরে এসে বিদ্যাসাগর চাদর খুঁজে না পেয়ে সবই বুঝলেন, কিন্তু কিছু বললেন না। কিছুক্ষণ পর ইংরেজ যুবক তার কোটটি রেখে বাথরুমে গেলে বিদ্যাসাগরও একই কাজ করলেন।

ফিরে এসে সাহেব নিজের কোটটি যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে বিদ্যাসাগরকে জিজ্ঞেস করলেন। হোয়্যার ইজ মাই কোট?

বিদ্যাসাগর নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিলেন, ‘ইওর কোট হ্যাজ গান টু ব্রিং মাই চাদর।’

দুই
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অন্যদের নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে খুব ভালোবাসতেন। অতিথিকে পরিবেশন করার সময় প্রায়ই বলতেন, ‘হু হু দেয়ং হাঁ হাঁ দেয়ং দেয়ঞ্চ করকম্পনে, শিরসি চালনে দেয়াং ন দেয়ং ব্যঘ্রঝম্পনে।’ একবার এক সাব-জজ প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর পুনরায় বিয়ে করলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে বললেন, তোমার তো মরার পরেই স্বর্গবাস!

সাব-জজ খুবই অবাক হলেন বিদ্যাসাগরের কথা শুনে। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কেন বলুন তো পণ্ডিত মশাই? বিদ্যাসাগর মুচকি হেসে বললেন, আমরা মরলে কিছুদিন নরক যন্ত্রণা ভোগ করে তারপর স্বর্গে যাব। কিন্তু তুমি এখন নরক ভোগ করবে। ফলে মরার পর সরাসরি স্বর্গে যাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫