
মলয় রায়চৌধুরী | ছবি: উইকিপিডিয়া
হাংরি আন্দোলনের জনক কবি ও ঔপন্যাসিক মলয় রায়চৌধুরী দীর্ঘদিন বয়সজনিত নানা অসুখে ভুগে ৮৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তার ছেলে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৯৬১ সালে পাটনায় ইস্তেহার প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয় হাংরি আন্দোলন। যা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গসাহিত্যের আনাচে কানাচে। সেই প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় মলয় রায়চৌধুরীর হাত ধরেই। জিওফ্রে চসারের একটি লেখা থেকে হাংরি শব্দটিকে বেছে নিয়েছিলেন মলয়। তিনি ছাড়াও তার বড়ভাই সমীর রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, হারাধন ধাড়া (দেবী রায়) এবং পরবর্তী সময়ে বিনয় মজুমদার, সন্দীপন চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছিল হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে। এমনকি সেই প্রজন্মের নাম হয়েছিল ‘হাংরি জেনারেশন’ নামে।
১৯৬৪ সালে ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতার জন্য রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মলয়। সারা জীবনে লিখেছিলেন দুশোর বেশি বই। কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ‘শয়তানের মুখ’, ‘জখম’, ‘ডুব জলে যেটুকু প্রশ্বাস’, ‘নামগন্ধ চিৎকার সমগ্র’, ‘কৌণপের লুচিমাংস’, ‘মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো’র মতো রচনা তার উল্লেখযোগ্য কাজ। ২০০৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।