
গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল
তাড়াহুড়া করে ফিরে আসতে গিয়ে নিজেকে ফেলে এসেছি খুব,
এখন ফেরত দেওয়া যাবে? কিছুটা? উদ্দেশ্য ছিল না অথবা কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা।
পথে, বিপথে যেখানে যখনই হেঁটেছি না কেন, কেবলই রিক্ত স্নিগ্ধতার
অসম্পূর্ণ ও বিশুদ্ধ দায়ভার থেকে। কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক,
কিচ্ছু যায় আসে না। পাঁচ মিনিটের কার্বন সাপ্লাই বা এক বেলা
শস্যের রক্ত-ঘাম সেচা মূর্ছনা। থেমে থাকবে না।
যাই হোক। নির্লিপ্ততার মোড়কে ঢেকে থেকে অনর্থক উদ্ধত,
ছড়াতে ছড়াতে ফুরিয়ে গিয়েছি দিক বিদিক। এখন অন্তত কুড়িয়ে
পাওয়া যাবে কি, একটুখানি?
শরীরের সাথে জিহ্বার সংযোগ নেই বহুদিন। তবু পেট ভরে ক্ষুধা ও
পিপাসাকে খেয়ে দেখেছি, মেটে কিনা আশ। ছায়াদের উল্টো পথে
হেঁটে দেখেছি, হৃদয়ের থেকে বৃহত্তর হলো শরীর এবং শূন্যতা।
কবিতা বলে তোমরা যাদেরকে বাধ্য হয়ে পড়, তারা মূলত বৃহস্পতিবারে
লিখে রাখা সুইসাইড নোটস। যাঁদের খুঁজে পাবে, ঠিক আগেরদিন, মানে
বুধবার সকালের ফুটো বুক পকেটে, এইট ডেইজ এ উইকে।
আর, হাত বাড়ালেই যে সুখ পাওয়া যায়, পা বাড়ালে তা কেবলই বিমুগ্ধ বিষাদ।
যেমন, ভুল করে সঠিক দরজায় গিয়েও, ফিরে আসতে হয়। আহত সময়ে।
নাহলে মলিন মলিন লাগে রঙিন সব যন্ত্রণার ফুল।
তাই কবিতা খুঁজতে যেতে নেই। পড়ে ফেলতে নেই যে কারো ব্যক্তিগত,
বারোয়ারী বৃহস্পতিবারকে। বাধা হতে নেই নিতান্ত শোকের বশে-ভারী,
ক্লান্ত ও বিরক্ত পৃথিবীর কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসকরণ প্রকল্পের।
পৃথিবীকে ভারমুক্ত করতে হবে ১৩ জুলাইয়ের ভিতরেই। কিন্তু তার আগে
একটা ছোট কাজ বাকি আছে এখনও, খুব। ফেরত দেওয়া যাবে? কিছুটা?