Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

প্রচ্ছদ শিল্পের ভবিষ্যৎ

Icon

অদ্বৈত মারুত

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪

প্রচ্ছদ শিল্পের ভবিষ্যৎ

বইয়ের স্টল। ফাইল ছবি

সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। যে দৃশ্য যত সুন্দর, চোখ সেখানে বেশি আটকে থাকবে- সেটাই স্বাভাবিক। সব ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। বইয়ের ক্ষেত্রে তো বটেই। বই শুধু বস্তু নয়, পণ্য এবং এই সৃজনশীল পণ্য বেচা-কেনা হয়। তাই ক্রেতা টানতে পণ্যটি আকর্ষণীয় করে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে আসে। অর্থাৎ আগে দর্শন, তার পর গুণবিচার। বইয়ের প্রচ্ছদ যত মনোরম, যত আকর্ষণীয় হয়, পাঠকের মন তত কাড়ে।

তবে বাংলা ভাষায় বই প্রকাশের শুরুর দিকে প্রচ্ছদের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচিত হতো বলে মনে হয় না। তখনকার বইপত্র, বিশেষ করে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটকের বইয়ের অনাকর্ষণীয় ছিল। অবশ্য এখনকার মতো তখন অত্যাধুনিক মুদ্রণযন্ত্র ছিল না। কাজ হতো লেটারিং বা অক্ষর সাজিয়ে। প্রচ্ছদও একইভাবে তৈরি করা হতো। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে মূলত বিংশ শতাব্দীর দিকে, প্রযুক্তির উৎকর্ষ লাভের সঙ্গে সঙ্গে। তখন গল্প-উপন্যাসসহ অন্যান্য বই চিত্রাকর্ষক করে উপস্থাপন হতে শুরু করে। কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে চিত্রশিল্পী দিয়ে আঁকানো শুরু হয়। শুরুর দিকের অধিকাংশ বইয়ের প্রচ্ছদই কখনো নারী, কখনো নারী-পুরুষের ছবি দিয়ে করানো হতো।

প্রযুক্তির উৎকর্ষ আর শিল্পীর চিন্তাশীল ভাবনার সংমিশ্রণে বইয়ের প্রচ্ছদ এখন এত আধুনিক এবং চিত্রাকর্ষক, দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়, প্রাণে দোলা দেয়, চিন্তার খোরাক হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রটি আরও আধুনিকায়ন করেছে কম্পিউটার এবং নানা সফটওয়্যার। যন্ত্রশীলতা আর শিল্পীর অগ্রসর চিন্তায় আগামীর বই প্রকাশনা আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে- তা নিশ্চিত করে বলা যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫