
হেমিংওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
লেখক-সাহিত্যিকদের রসবোধ সাধারণের চেয়ে সর্বদা আলাদা, তাদের মতিগতিও সাধারণের মতো নয়। ফলে এদের জীবন-যাপন, ভাবনা-চিন্তা নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও কমতি নেই। ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ খ্যাত ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে সাহিত্যেই কেবল ব্যস্ত ছিলেন তা নয়। তিনি মৎস্যশিকারি ছিলেন। ছেলেবেলায় ছিলেন প্রচণ্ড ডানপিটে আর খেয়ালি প্রকৃতির। আর এসবের বাইরে তার কাজ-কর্ম আমাদের আনন্দ দেয় নতুন করে। তিনি ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই আমেরিকার ইলিনয়ে জন্মেছিলেন। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের বাইরে দুই বছর জিতেছেন পুলিৎজার। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মজার ঘটনা লিখেছেন শোয়াইব আহম্মেদ।
পৃথিবীখ্যাত লেখক হেমিংওয়ের পছন্দের কাজ মাছ ধরা, এমনটাই তো হওয়ার কথা, অন্তত আমরা সে রকমই ভাবতে থাকি। মূলত সমুদ্রে মৎস্য শিকার করা হেমিংওয়ের নেশা ছিল। খেয়াল হলেই তিনি যেতেন মৎস্য শিকারে। ১৯৩৫ সালের ঘটনা, তখন হেমিংওয়ে বাহামার সমুদ্রে এক ঝাঁক টুনা শিকারে যান। এ সময় এক দল হাঙর খুব ঝামেলা পাকালে তিনি মেশিনগান নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। যদিও তাতে খুব একটা কাজ হয়নি, রক্তের স্বাদ পেয়ে হাঙরের দল আরও উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ে টুনা ঝাঁকের ওপর।