
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ঠিক এ রকমই এক শ্রাবণে লেখালেখির দায়বদ্ধতা ছেড়ে ওপারে পাড়ি জমান বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার হাতে বিধাতা দিয়েছিলেন এক জাদুর কাঠি। সেই জাদুর কাঠি দিয়ে তিনি একজন হুমায়ূন আহমেদ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।
বিধাতা সবাইকে সেই জাদুর কাঠি দেন না। যিনি সে ভার বহন করতে পারেন তাকেই দেন। হুমায়ূন আহমেদ তা পেরেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য জগৎ এবং নাটক ও সিনেমাতেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। একজন নাট্যকার হিসেবে এবং একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন।
আলাদাভাবে যদি নাটকের কথা বলি তাহলে লক্ষণীয় যে এখানে যে ধারা আশির দশক থেকে চসে আসছিল তা যে আচমকাই ভেঙে নতুন করে দাঁড় করান। তার নাটকেও তিনি ব্যবহার করেছেন গান। কখনো হাছন রাজা আবার কখনো বা নিজস্ব কোনো সুর। যেমন-তার আজ রবিবার নাটকের মাধ্যমেই হাছন রাজার গান নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়েছিল। সেই সব ছিল মানুষের মুখে মুখে। সৃষ্টি করেছেন এক বিশেষ শ্রেণির দর্শক। নাটক দেখতে গিয়ে যে মানুষ হাসতে হাসতে ঢলে পড়ে সেটি তিনিই প্রথম দেখিয়ে দেন।
নাটকের প্রধান বিষয় হলো চরিত্র। সেই চরিত্রে তিনি একের পর এক নতুন মুখ হাজির করলেন এবং আশ্চর্যভাবে সেই অভিনেতারাও দেশের মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রীতিমতো জহুরির চোখ ছিল তার। কাকে কোন চরিত্রে ব্যবহার করতে হবে একেবারে ঠিকঠাক ব্যবহার করতেন।
ঈদের নাটক মানেই হুমায়ূন আহমেদ। ঈদের কোন দিন হুমায়ূন আহমেদের নাটক কোন চ্যানেলে রয়েছে তার তালিকা আগেভাগেই প্রস্তুত রাখতেন দর্শকরা।