শিল্পী রিপন সাহার প্রদর্শনী ‘অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি’

তাহমিনা ইসলাম মিম
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪

শিল্পী রিপন সাহার প্রদর্শনী। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
শিল্পী রিপন সাহার ৭৮টি শিল্পকর্ম নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে একক প্রদর্শনী ‘অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি’। ২৬ অক্টোবর এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পী কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য। কলাকেন্দ্রে এটি শিল্পীর একক তৃতীয় প্রদর্শনী। সমকালীন প্রসঙ্গগুলো এই প্রদর্শনীতে শিল্পী গিমিক, স্যাটায়ার ও উইটের মাধ্যমে তুলে এনেছেন।
২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী। অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি প্রদর্শনীর কিউরেটর শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান।
প্রদর্শনীতে নিজের আঁকা ছবিগুলো সম্পর্কে শিল্পী রিপন সাহা বলেন- “আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একটি প্রতিধ্বনি বহন করে, যা সমালোচনামূলক সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম, আন্দোলন এবং কণ্ঠস্বর যা সময়ের সাথে সাথে বিলীন হয়ে যায়, তবুও তাদের নিজ নিজ অবস্থান ধরে রাখে। মানুষ ক্রমাগত অস্তিত্ব, সময় এবং স্মৃতির জটিল সার্কিটে তাদের আবেগকে সুরক্ষিত করার জন্য চেষ্টা করে। এই জটিল ভূমিতে নেভিগেট করার সময়, আমরা মৌলিক প্রশ্নগুলির সাথে লড়াই করি : আমাদের চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্তগুলো কি কেবল আমাদের নিজস্ব, নাকি সেগুলো অদৃশ্য শক্তি দ্বারা পরিচালিত? আমাদের চারপাশের সবকিছু কি বাস্তব, নাকি নিছক প্রতিধ্বনি? ‘অস্তিত্বের প্রতিধ্বনি’ মূলত অদৃশ্য শক্তির প্রতিফলন, যা আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যার প্রভাব আমরা প্রতিদিন অনুভব করতে পারি। আমি এখানে যা ধরার চেষ্টা করেছি তা হলো সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত প্রতিধ্বনি।
এই অনুসন্ধানে, আমি মানুষের ব্যক্তিত্বের অভ্যন্তরীণ চিন্তার ভিতরে উঁকি দেওয়ার জন্য পপ শিল্পের প্রাণবন্ত ভাষা, উজ্জ্বল রঙ, পরিচিত আইকন এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্কনগুলোর উপর নির্ভর করেছিলাম এবং সেই প্রবাহের সাথে আমি রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করেছি। এই শৈল্পিক কৌশল শুধু রাজনৈতিক এবং সামাজিক দিকগুলোর সমালোচনা করে না, সময়ের মধ্যে মানুষের অস্তিত্বের মানসিক স্তরগুলোকেও সমুন্নত করে।
আমার লক্ষ্য হলো আপনাকে আপনার নিজের বাস্তবতাগুলোর একটি সমালোচনামূলক পরীক্ষা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো। এটি একটি নিছক সৃজনশীল অভিজ্ঞতা নয়, আত্মদর্শন এবং অন্বেষণের আহ্বান। আমি আশা করি যে আমার কাজগুলো আপনাকে অদৃশ্য প্রতিধ্বনিগুলোকে প্রশ্ন করতে অনুপ্রাণিত করবে, যা আপনার জীবন এবং আপনার পারিপার্শ্বিকতাকে রূপ দেয়।”