Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় কবি হেলাল হাফিজ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২১

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় কবি হেলাল হাফিজ

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় কবি হেলাল হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত হলেন প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ। 

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মূল দরজার বামপাশে বুদ্ধিজীবীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের ১ম জানাজা ও দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পরীবাগের সুপার হোম নামে হোস্টেলের বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় কবিকে। হোস্টেলের অন্য রুমের সদস্যরা তাকে দরজা ভেঙে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কবি হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

উল্লেখ্য, হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।

দেশে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতা-প্রেমীদের মুখে মুখে।

২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫