-67959dc37492c.jpg)
প্রতীকী ছবি
সেই কবে থেকে কে কড়া নাড়ছে
খিল আঁটা দরজায়-
ডাকছে কে কারে, নৃত্যের ওংকারে
নাটোরের নটরাজ?
মায়াবী কণ্ঠে ডাকেন রানী মা- বাড়ি আছ বনলতা?
দেখ অবেলায় মেঘ করে এলো- সাঁঝ!
আকাশে চাঁদের অন্ধ বিষণ্নতা
শুকনো পাতায় ওঠে মর্মরধ্বনি-
বাতাসের হাতে হাত রেখে বাজে বিহ্বল-সিম্ফনি!
জঙ্গুলে প্রাঙ্গণে বিস্তর শ্যাওলা জড়ানো মাটি
অমাবস্যার চরণ ছুঁয়েছে জোয়ারে জড়ানো ভাটি
সে প্রান্তরে ভিড়ে প্রজাপতি মেলে রঙিন পাখাটি তার
পুকুরপারেই জলডুমুরের ঘনায়মান ছায়ায় অন্ধকার।
অনতিদূরেই মাটি কামড়ে দাঁড়ানো পুরোনো বাড়ি
সাক্ষ্য দিচ্ছে স্মৃতিজলধীর সাথে
অভিমানিনীর আক্ষেপভরা বেদনাবিলাপে আড়ি!
অধোবেদনের সলাজ সায়রে মুগ্ধ জীবনানন্দ
দরজায় এসে দাঁড়ান হঠাৎ যদি
-আমিও তো তাঁকে খুঁজতে এসেছি- খুঁজছি জন্মাবধি!
অশোকরাজের ধূসর জগত স্মৃতিমেধ-সিন্দুকে
অন্ধকারে মালয়সাগর নাবিকের নতমুখে
দেখা পাইনি তো, ছুটে গেছি দূর-বিদর্ভ নগরীতে!
হাজার বছর ধরে আমি তাঁরে ডেকে
বিদিশার দিশা ক্লান্ত-ভ্রান্ত মৃতপ্রায় কবিতায়
স্থাপন করেছি তাঁর স্মৃতিটুকু শোকের অশ্রু মেখে!
ঢেউয়ের আঘাতে সফেন জলের ধারা
আজও সমুদ্র বহমান অন্তরে
কেবল চকিতে হারিয়ে ফেলেছি প্রেম-
বিরহকালের সাক্ষী-পলেস্তারা।
বনলতা সেন নির্ভাবনায় অস্তাচলের মেঘে
হয়তো রয়েছে রূপকথা হয়ে চাঁদের সঙ্গে জেগে!