
প্রতীকী ছবি
বারান্দায় থাক থাক কাঠের পাটাতনগুলো
দেখলে মনে হয়- গাছটার বয়স হয়েছিল বটে।
দীর্ঘদিন এই মহীরুহ ছায়া দিয়েছে
বয়সের ভারে ন্যুব্জ পাথর আজকাল ছায়া দিচ্ছে না।
রসটানতে পারছিল না ঠিক ঠিক খাদ্যাভাব
দেখা দিয়েছে, শাখা-প্রশাখায় মরচে ধরেছে।
পাতা খসানো চলছিল, পূর্ণতা পেল এবার সম্পূর্ণ রূপেই মুমূর্ষু।
যেকোনো সময় চিৎপটাং এর খবর আসতে পারে।
সরকারিভাবেই তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এসেছিল।
আধুনিক পদ্ধতিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো গত পরশু।
আমাদের ঠাকুমারও বয়সকালে অমন
হয়েছিল, তার বেলায় আবার অন্য পদ্ধতি।
বিধিমাফিক স্টেপ। পূজা-পার্বণ করে তাঁকে ওপারে
পাঠানোর সবল প্রচেষ্টা। অথচ ঠাকুমার হাত ধরেই এই সংসার
খানাখন্দ পেরিয়ে আজ একটি সম্মানজনক স্থানে।
কাঠের পাটাতনগুলো অনেক কথা বলছে।
সেও ঠাকুমাকে দেখেছে। আজ ঠাকুমাও নেই।
গাছটাও নেই।