
প্রতীকী ছবি
সময় নেই। সিটবেল্ট বাঁধতে বাঁধতে অরূপা সামনের দিকে তাকায়। কেউ একজন হাত তুলে কিছু বলতে চাইছে। গাড়িটা ব্রেক করে। অরূপা সাদিকুলকে চিনতে পারে। আজ ওকে উদ্ভ্রান্ত দেখায়। পেছনেই বাচ্চা কোলে বউ নিতু। নিতুর কান্নাভেজা ফোলা চোখ। সাদিকুল অনুনয় করে বলল,
‘প্লিজ, একটু লিফট দেবেন?’
অরূপা দরজা খুলে দিল। গাড়ি স্টাট দিয়ে বলল,
‘কী হয়েছে বর্ণমালার?’
নিতু ফুঁপিয়ে উঠল। সাদিকুল বলল,
‘ও কিছু একটা খেয়েছে।’ নিতু এবার জোরে ফুঁফিয়ে ওঠে।
কাছেই শমরিতা হাসপাতাল। ওদের নামিয়ে অফিসে ছুটল অরূপা। দুপুরে ফ্রি হতেই মনটা বিষণ্ন হয়। সাদিকুলের টেনশান, নিতুর ফোঁপানি আর বর্ণমালার বিবর্ণ অচেতন মুখ এর জন্য দায়ী। কী খবর ওদের? ব্যস্ততায় জানা হলো না। ফোন তুলে সাদিকুলের নম্বর খুঁজে পেয়েও ফোন দিল না। নিতুকে ফোন দিয়ে খবর জানল। ওকে ওয়াশ করে পয়জন বের করা হয়েছে। ওর অবস্থা তেমন ভালো নয়। দুই দিন পর দরজায় কলিংবেল। দরজা খুলতেই সাদিকুল অরূপাকে ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ল। এই প্রথম সাদিকুল কাঁদছে। অরূপা এ জন্য এগিয়ে ওর চোখের জল মুছে দিল না, এমন কি সান্ত¦নার বাক্যও উচ্চারণ করল না অরূপা।
সাদিকুলের ভেজা কণ্ঠ-
তোমাকে কষ্ট দেওয়ার অভিশাপে মেয়েটি চলে গেল। ক্ষমা করো অরূপা।
অরূপা কাঁপে।