
ঢাউস আকৃতির ছাতা পছন্দ করতেন
জনৈক সাঁওতাল
তিনি ভাবতেন, বিস্তারিত ওই
কাঠামোর মূলকথা হলো
ছত্রচ্ছায়া
—যার কোনো বিকল্প নেই
সুতরাং কিনে আনলেন (বিশেষ অর্ডারে),
প্রকাণ্ড বিস্ময়—কালো,
আর ক্রমপ্রসারিত!
একদিন বজ্রমেঘের ভোরে হাওয়া করলো
খুব
ছাতার দরদে তিনি উড়ে গেলেন,
কত দূরে, কোথায়—
কেউ জানলো না!
প্রিয় বস্তুর চুম্বকত্ব থেকে মমতা গোটাতে,
স্বভাবত তার বাঁধছিল,
তাছাড়া ওই অর্ডারি মহার্ঘের
মায়াও কম নয়,
ক’দিন মাত্র নিয়েছেন তার শুশ্রূষা!
নামচার পৃষ্ঠা ওল্টালো...সংশ্লিষ্ট ছবির
ফোল্ডারও
ছত্রাক জমলো ছাতায়, ছত্রপতির মুখে
যেমনটা প্রায়শ ঘটে—পৃথিবীতে
—যাপিত প্রহরে!
গেলাম পাহাড়ে একদিন, অসাধ্য উচ্চতায়,
—পর্যটনে (জাতিসত্তা সেমিনারে?)
দেখা গেল এপিটাফ, খোদিত পাথরে
—এখানে ঘুমের কোলে শায়িত একজন—
জনৈক সান্তাল—লিপ্সার নিরীহ আবেশে
গিয়েছেন ফেঁসে—ছাতা ভালোবেসে।
[তিনি জানতেন, ছাতার উপরে থাকে
আরেকটি ছাতা, যে ছাতা পৃথিবীকে
বিভক্ত করে না।]