
অনুরতি
একটা সরোদ সুরের মতো সম্পর্ক
একটা মিহি সুতোর মতো সুর
না হয় দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস হয়েই রইলো
একমুহূর্তে শত শত বছরের জীবন
কে আর করেছে যাপন
এক নদীতে কে আর করেছে স্নান সহস্রবার
জীবন জয়ের পর ছুঁয়েছে প্রতিদিন মৃত্যুর প্রহর
কে আর পেরেছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
এমন করে বাসতে ভালো
নিশীথের চোখে কান্না জড়ায়ে
জ্বলায়েছে আলো কে আর
কাঁচালঙ্কা জীবনে মিশায়েছে সামান্য নুন
পুড়ে পুড়ে বলেছে বেঁচে থাকো
বেঁচে থাক, তুই অমৃতের আগুন
অহল্যা হয়ে বুকে চেপে
সাজায়েছে বাসনার বাসর
অহর্নিশ ব্যর্থ হতে হতে
উড়ায়েছে নিশান মৃত্তিকার
মনে রেখো সেই তুমি, সেই আমি
ভালোবাসার জমজ সন্তান!
অমিয়সুধা
ঘুমন্ত অগ্নিগিরি জাগে নাই। ইস্রাফিলের
শিঙ্গায় লণ্ডভণ্ড হয় নাই সংসার।
খানিকটা কেবল গড়িয়ে নেমেছিলো তপ্ত লাভাস্রোত।
বিচ্ছুরিত আলো। তারে জড়ায়ে ছিলো।
লাভাস্রোত নয়, সে ভীষণ অগ্নুৎপাত চেয়েছিলো।
অনন্তের যূথিকায় প্রাপ্তি মেলে নাই। তাই
বেঘোরে ঘুমায় পৌর্ণমাসী মন্দাকিনী।
সহমৃতা
কবে আবার মুখোমুখি খুন হবো
কালো কফি, সবুজ চা
চোখের সীমায়
বিভবরী আলো
ঠোঁটের ডগায়
সিক্ত আমেরিকানো
ত্বকের দ্যূতিতে
ফিকে রোদ্দুর
কিছুই না দেখে
বেগুনী চিঠিগুলো উড়িয়ে দেবো
দুপুর রোদের ঈর্ষায়
ঢোক গিলে সামলে নেবো
ভেতরে ভেতরে দুলে ওঠা
লাক্কাতুরার স্বপ্ন
জাদুর দোলনায় চলে যাবো
ঢেউয়ের তুমুল গুঞ্জরণ শুনতে
মার্টিনি না মার্গারিটা নিয়ে
ঝগড়া বাধাবো অহেতুক
আমার তুমুল দুলে ওঠা লুকাতে
আবার কবে মুখোমুখি
আর কবে
খুন হবো
আতশকাচ
স্বচ্ছতাকে মাপতে পারো
স্বচ্ছতাকে দেখতে পারো
কোথায় থাকে স্বচ্ছতা?
কাচের দেয়ালে, পারদের আড়ালে
কেউ তাকে চেনে, কেউ চেনে না
চেনা না-চেনা প্রশ্ন নয়
স্বচ্ছতার ভুলে ভরা শরীর
হিসেবের গড়মিলে অস্থির
স্বচ্ছতার শরীরে জবরদস্তি আঁকা জেব্রাক্রসিং
কদমে কদমে ট্রাফিক সিগনাল
অথচ, দেখো চিরটাকাল
জেব্রা আর সিগনালে পাকাপাকি বিরোধ