Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:০২

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ওস্তাদ শাহ আবদুল করিমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। 

শাহ আবদুল করিম ছিলেন একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। তিনি বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চাতায় নিয়ে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি পাঁচশো-এর উপরে সংগীত রচনা করেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাকে "বাউল সম্রাট" হিসাবে সম্বোধন করা হয়।

বাংলা সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০১ সালে একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত হন এই “বাউল সম্রাট”।

ছোটবেলা থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বড় হওয়া ওস্তাদ সামাজিক নানা বৈষম্য ও গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। অভাবের কারণে পড়ালেখা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নাইট স্কুলে কয়েকদিন পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। অন্যের বাড়িতে গরু চরিয়ে শুরু হয়েছিল তার জীবন। 

তার গানে দেশাত্মবোধ ছিল চরম। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সনের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উদ্দীপনামূলক গান লিখে বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছেন। মৌলবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু উচ্চকিত ছিলেন এই শিল্পী। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নির্বাচনী জনসভায় দেশের পক্ষে গান গেয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন। 

হাজারো কালজয়ী গান রচনা করেছিলেন শাহ আবদুল করিম। তার রচিত আফতাব সংগীত প্রথম গীতিগ্রন্থ। ১৯৫৮ সনে সুনামগঞ্জের মুরশিদি প্রেস থেকে এটি বেরিয়েছিল। এছাড়াও কালনীর ঢেউ, ধলমেলা, ভাটির চিঠি তার উল্লেখযোগ্য গীতিগ্রন্থ।

২০০৯ সালের এই দিনে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান গুণী এই শিল্পী। 


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫