করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ১ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে মাত্র ১ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর যে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই পূর্বাভাস রয়েছে।

অন্যদিকে সরকার মনে করছে, চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শমিক ২ শতাংশ।  সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে মজুরি কমে যাবার প্রভাবে বেসরকারি ভোগব্যয় কমে যেতে পারে। তৈরি পোশাকের চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিনিয়োগ ও রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সাময়িক মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এর কারণ ব্যাখ্যায় বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে ফেরত আসা প্রবাসীদের সঞ্চয়ের কারণে রেমিট্যান্স এখন বাড়ছে। তবে আগামীতে এ ধারা না-ও থাকতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং অনানুষ্ঠানিক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে যাচ্ছে এবং এ অঞ্চলে করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক মনে করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৯ শমিক ৬ শতাংশ সংকোচন হবে। ভুটানে প্রবৃদ্ধি হবে ১ শমিক ৮ শতাংশ। নেপালে প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য শমিক ৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।