Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

প্রিয়দর্শিনী

Icon

ফাতেমা ইরাজ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ০৯:২৯

প্রিয়দর্শিনী

প্রতীকী ছবি

বেশ সুন্দর একটা বিকেল, চারদিকে ফুরফুরে বাতাস আর মায়াবী আলোয় প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সেজেছে। সুহাসিনী বারান্দায় বসে ইংরেজি ম্যাগাজিন পড়ছিল। ট্রেতে করে দু’কাপ কফি নিয়ে নন্দিতা বারান্দায় এলো। সুহাসিনীর পাশে বসল সে।সুহাসিনী ম্যাগাজিন থেকে চোখ না সরিয়েই বলল ‘মা কিছু বলবে?’

নন্দিতা বলল ‘বুঝতেই যখন পেরেছো তখন আর কী বলব, তোমার বাবা জানতে চেয়েছেন তুমি কী করতে চাও?’ সুহাসিনী ম্যাগাজিন বন্ধ করে এক কাপ কফি মায়ের দিকে বাড়িয়ে দিলো এবং অন্য কাপ হাতে নিয়ে চুমুক দিতে দিতে বলল- ‘মা আমি তো আগেই বলেছি, আমি রিশাদকেই বিয়ে করব। ‘নন্দিতা উঠে চলে যেতে চাইলে সুহাসিনী মায়ের হাতটা টেনে আবার বসিয়ে দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘মা রিশাদ খুব ভালো ছেলে।’

নন্দিতা বলল, ‘ও আচ্ছা, হলে ভালোই। তবে তোমার বাবার যেহেতু এমনটা মনে হয় না, নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে, তার মিডিয়া জগতে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা।’ সুহাসিনী মাকে ছেড়ে দিয়ে ততক্ষণে কফিতে চুমুকের পর চুমুক দিয়েই যাচ্ছিল। সে আর কিছুই বলল না। ‘মা মিডিয়াতে যারা আসে, তাদের তো সবাই খারাপ বলে, তোমার আমার চরিত্র কি সত্যিই খারাপ?’ না; কিন্তু সেজন্য তোমার বাবার অবদান অনেক। আমরা মিডিয়াতে আসার আগেই তোমার বাবা নিজেকে বটগাছ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, আর সে জন্যই আমরা ভালো ছিলাম। যাই হোক, তাহলে তোমার সিদ্ধান্ত কি তোমার বাবাকে জানিয়ে দেব?’ সুহাসিনী শুধু বলল ‘হু’। নন্দিতা উঠে দাঁড়ালেন। সুহাসিনী বলল ‘মা কফিটা অন্তত খেয়ে যাও।’ ‘নন্দিতা কিছুই না বলে উঠে চলে গেলেন।

মিনিটখানেক বাদে প্রিয়দর্শিনী এসে সুহাসিনীর পাশে বসে বলল ‘আপু তোমার সঙ্গে একটু গল্প করা যাবে? আমার মনটা খুব খারাপ’। সুহাসিনী বলল, ‘দেখতেই পাচ্ছিস আমি ব্যস্ত, তবুও তোর যখন মন খারাপ তখন তোকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত, বল কী বলবি?’

আপু আমার ময়নার পালক পড়ে যাচ্ছে মনটা ভীষণ খারাপ। আগের ময়নাটার মতো এটাও মারা যাবে না তো?

আরে না কিছু হবে না। তুই যা তোর ওই ক্যাবলা পশু ডাক্তার আছে না? কি যেন সুমন না কি একটা নাম, তাকে ফোন কর দেখবি মুহূর্তেই হাজির।

হ্যাঁ, তাকে একটা ফোন অবশ্য করা যায়। আমি যাই তবে। 

কফিটা চাইলে খেতে পারিস, এখনো গরম আছে।

প্রিয়দর্শিনী কফির মগটা হাতে তুলে নিয়ে চলে গেলো।

সন্ধ্যার পরে সুহাসিনীদের বাসার ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে আছে রিশাদ, পরনে বেগুণী একটা শর্ট পাঞ্জাবি আর কালো জিন্স। প্রেমিকার বাবা তাকে ডেকে পাঠিয়েছে, তাকে দেখে তা মোটেই বোঝা যাচ্ছে না, সে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই সোফায় বসে পায়ের ওপর পা তুলে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করছিল। মনিরুল আলম সাহেব ড্রয়িং রুমে ঢুকে কাশি দিলেন, রিশাদ বসে বসেই তাকে সালাম দিলে, ‘স্যার আসসালামু আলাইকুম’।

মনিরুল আলম সাহেব সালামের উত্তর দিয়ে, রিশাদের মুখোমুখি সোফায় বসলেন। 

খানিকক্ষণ চুপ থেকে বললেন- তুমি এখানে কেন এসেছো, তা তুমি ভালো করে জানো তো!

-হ্যাঁ স্যার।

-তাহলে ভণিতা না করে বলেই ফেলো তোমার কী ইচ্ছে?

-স্যার আসলে আমি সুহাসিনীকে পছন্দ করি, ও আমাকে পছন্দ করে।

-আচ্ছা, তারপর?

-স্যার আমি বাসায় জানিয়েছি, বাসার সবাই তো সুহাসিনী আপনার মেয়ে শুনেই রাজি হয়ে গেছে।

-শুধু আমার মেয়ে জেনেই রাজি হলো? বিয়েটা তো আমার তোমার হচ্ছে না, হবে সুহাসিনীর সঙ্গে তোমার, মেয়ে না দেখেই তারা মত দিলো?

-আসলে স্যার মায়ের সঙ্গে সুহাসিনীর একবার দেখা হয়েছিল, মা বাবাকে বলে রাজি করিয়েছে। তাছাড়া টিভি প্রোগ্রামে তো ওকে প্রায়ই দেখে।

-তাহলে আগে যে বললে, আমার মেয়ে শুনেই রাজি হয়েছে, তা কি আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য?

রিশাদ খানিকটা বিব্রতবোধ করছে, সে তো জানে যে মনিরুল আলমের তাকে খুব একটা পছন্দ নয়, আর সে মাত্রই একটা মিথ্যা বলল, যা রিশাদের বিপক্ষেই গেলো।

-বাদ দাও এসব কথা, যখন তোমাদের দু’জনের দু’জনকে এতই পছন্দ, তুমি খানিকটা এগিয়েও রেখেছো, বাসায় রাজি করে ফেলেছো, এবার তোমার বাসায় বলো, প্রস্তাব পাঠাতে।

-জ্বী, আচ্ছা।

মনিরুল আলম নন্দিতাকে বললেন, রিশাদকে নাশতা দিতে এরপর তিনি উঠে নিজের ঘরে চলে গেলেন।

বেশ ধুমধাম করে সুহাসিনীর বিয়ে হলো, দু’পক্ষই মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত তারপর মনিরুল আলম তো বহুদিন এ জগতে আছে আর বেশ পরিচিতও তাই মিডিয়ার লোকজনে ভরপুর থাকাটাই স্বাভাবিক।

বিয়ের প্রায় চার মাস কেটে গেছে, তবে সুহাসিনী বাবার বাড়িতেই আছে, মাঝখানে দু’বার শশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল, দু-তিন দিন করে থেকেই চলে এসেছে। এখানে থেকেই কাজে সুবিধা তার। রিশাদও এখানেই থাকে। আজ হঠাৎ করেই যেন সবার একযোগে কাজ পড়েছে, সুবাসিনীর শো আছে, নন্দিতার নাচের ক্লাস, আর মনিরুল আলম তো সবসময়ই ব্যস্ত। কাজের মেয়েটা গেছে বাজারে। তখন প্রায় রাত ৮টা, প্রিয়দর্শিনী একাই বাসায়। ও নিজের রুমের লাগোয়া খোলা বারান্দায় বসে গুনগুন করে গাইছিল ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছ আমার গানের ওপারে...’

বারান্দা থেকে অন্ধকারে সে সুর যেন ছড়িয়ে পড়ছে বাগানজুড়ে, মনে হচ্ছে গাছের ফুল পাতারাও সে গান মন দিয়ে শুনছে।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে প্রিয়দর্শিনীর মনে হচ্ছে পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে পুরো ঘরের লাইট অফ থাকায় বোঝা যাচ্ছে না যে কে। প্রিয়দর্শিনীর অন্ধকার খুব প্রিয়, তাই বাসায় একা থাকলেই সারা বাড়ির লাইট অফ করে রাখে ও। প্রিয়দর্শিনী জিজ্ঞেস করল, ‘কে’?

পেছন থেকে উত্তর দিলো ‘আমি রিশাদ, ঘরে একা বুঝি? লাইট অফ দেখছি যে।’

-তুমি কখন এলে ভাইয়া?

-তোমার গানের শেষে এক মিনিট এসে গেলাম, মিস করে ফেললাম বুঝতে পারছি, আগে এলে পুরোটা শোনা যেত।

- লাইট অন করলে না যে! আর ডাক দিলেই পারতে।

- তোমার গান শুনতে পেতাম না যে! মরিয়ম কই? প্রিয়দর্শিনী চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বলছিল- ও বাজারে গেছে, কিছু লাগবে? বলো আমি ফোন করে দিই।

প্রিয়দর্শিনী লাইট জ্বালাতে সুইচে হাত দিলো, হাত দিতেই ওর হাতে রিশাদের হাত লাগল। রিশাদ ওর হাতটা ধরে বলল ‘লাইটটা জ্বালাতে তো না করলাম।’

রিশাদ বলল লাইটটা না হয় অফই থাক। প্রিয়দর্শিনীর বুকের মধ্যে ভয় যেন জাপটে ধরল। ওর মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগের কথা, প্রিয়দর্শিনী গোসল সেরে এসে হাতে পায়ে লোশন লাগাচ্ছিল, দরজা ভেড়ানো ছিল আড়াল থেকে রিশাদ তাকিয়ে দেখছিল, মাকে বললে, মা বললেন ‘সাবধানে চলবি।’ ‘তাছাড়া মরিয়মও বলছিল সেদিন নাকি মরিয়ম তাকে রুমে চা দিতে গেলে খালি ঘরে ওর বুকে সজোরে এক চাপ দিয়েছিল রিশাদ। প্রিয়দর্শিনী বললো ‘ভাইয়া হাতটা ছেড়ে দিন’।

-হাত তো ছাড়ার জন্য ধরিনি গো ছোট গিন্নি।

-ভাইয়া বলছি হাতটা ছেড়ে দিন, আমি কিন্তু চিৎকার দেবো।

-লাভ নেই সুন্দরী কেউ নেই বাড়িতে পুরো বাড়ি ফাঁকা, জেনেই এসেছি, দারোয়ানকে পাঠিয়েছি সিগারেট আনতে, হেঁটে যাবে, কিনবে, আসবে আর ওকেও খেতে বলেছি দু-চারটে। হা হা হা করে এক কুৎসিত হাসি দিলো রিশাদ। প্রিয়দর্শিনীকে টান দিয়ে রিশাদ জড়িয়ে ধরলো, প্রিয়দর্শিনীর মাথা ঘুরতে লাগল, চোখ ঝাঁপসা হয়ে এলো, শরীর যেন হিম হয়ে যাচ্ছে ওর।

মরিয়ম দোকান থেকে ফিরে এসে, প্রিয়দর্শিনীর রুমে এলো।

-আফা, ও ছোডো আফা, ও আফা কি হইলো আফনার, ওডেন, এত আগেই ঘুমাইয়া পড়লেন যে- সাড়ে ৯টা বাজে মাত্র।

-কে, কে?

-আফা, আমি মইরম।

-মা এসেছে।

-না আফা, কিছু লাগবো আফা?

-মরিয়ম আমাকে একটা বালতি দে বমি করব।

মরিয়ম দৌড়ে বালতি আনতে গেলো, বালতি নিয়ে এসে দেখলো, সে আসার আগেই প্রিয়দর্শিনী বমি করে বিছানা ভাসিয়ে ফেলেছে। মরিয়ম বিছানায় উঠতে যাচ্ছিল ওকে ধরার জন্য। প্রিয়দর্শিনী বলল, তুই এ বিছানায় আসিস না। -কি যে কন আফা, আফনে অসুস্থ আর আমি আমু না, সরেন আমি বিছানাডা পালডাইয়া দিই।

-তুই আমার বিছানা ছুবি না, আমাকেও ছুবি না।

মরিয়ম ব্যাপারটায় খুব আহত হলো, সুহাসিনী এমন করলেও প্রিয়দর্শিনী কখনো এমন করে না, সে তো মরিয়মকে মাঝে মাঝে বিছানায় নিয়েও ঘুমায়; কিন্তু আজ এমন আচরণে মরিয়মের চোখে পানি চলে এলো।

প্রিয়দর্শিনী বলল- ‘না কেঁদে, যা গিজার অন করে দে শাওয়ার নেবো, এখন রুম থেকে বের হ, ডাকলে ঘরে আসবি, তার আগে আসবি না, ঘরে মোম আছে?’

-না, মোমবাতি দিয়া কি হরবেন?

-না থাকলে সাইফুলকে দিয়ে আনিয়ে রাখ, সাবধান তুই বাসা থেকে কোথাও যাবি না।

-আচ্ছা ঠিক আছে (খানিকটা অবাক হয়ে)।

মরিয়ম গিজার অন করে দিয়ে যেতে যেতে বলল বিছানা, কাফুড় রাইখা দিয়েন, আমি দুইয়া দিমুআনে। মরিয়ম চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়দর্শিনী দরজা বন্ধ করে দিলো। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরজায় কলিংবেলের আওয়াজ। মরিয়ম দরজা খুলে দিলো। নন্দিতা ও সুহাসিনী একসঙ্গেই বাসায় ফিরেছে। তারা ঘরে পা রাখতেই মরিয়ম বলতে শুরু করল, ‘খালাম্মা জানেন কি ঘটনা ঘটছে বাসায়, ছোডো আফায় বমি কইরা ঘর ভাসাইয়া ফালাইছে, জ্বর ওটছে মনে হয়। আমি ধরতে গেলাম, আমারে খেদাইয়া দিলো। আর সব চাইতে আচানোক ব্যাফার হইলো, আফায় হের হারা গরে লাইট জ্বালাইয়া রাকছে। আর আমারে কইলো চার্জার লাইট আর মোমবাতি হের ঘরে দিয়া আইতে।’

নন্দিতা মরিয়মের কথা শুনেই সোজা চলে গেলো প্রিয়দর্শিনীর ঘরের দিকে। ঘরের দরজা বন্ধ। নন্দিতা দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে ডাকতে লাগলো প্রিয়, প্রিয়, এই প্রিয়দর্শিনী দরজা খোল, কি হয়েছে মা? দরজা খোল। পেছনে দাঁড়িয়ে মরিয়মও ডাকছিল।

প্রায় মিনিট দুয়েক পরে প্রিয়দর্শিনী দরজা খুলে বললো, ‘মা ভিতরে আসো, একা আসবে।’ 

নন্দিতা ভিতরে এলো, প্রিয়দর্শিনী কাঁপতে, কাঁপতে দরজাটা বন্ধ করে দিলো।

প্রিয়দর্শিনীকে দেখে আঁৎকে উঠলো নন্দিতা। পুরো মুখ ফুলে লাল হয়ে আছে, চোখ দুটি রক্তবর্ণ। বিছানায় এখনো বমি, খানিক বমি ওর জামা কাপড়েও লেগে আছে।

-একি, তোর কি হয়েছে, এমন অবস্থা কেন?

-মা থানায় চলো।

নন্দিতার বুক কেঁপে উঠল।

-কি হয়েছে মা আগে তো বল।

-মা যা হবার তাই হয়েছে, আমি আগেই বলেছিলাম, তুমি শোনোনি আমার কথা। মা তোমার জামাই এসেছিল, আদরের জামাই রিশাদ।

নন্দিতা ধুম করে মেঝেতো বসে পড়লো, থরথর করে কাঁপছে প্রিয়দর্শিনী। কাঁপছে আর বলছে মা ওঠো থানায় যাব।

বেশ কিছুটা সময় বাদে নন্দিতা উঠে প্রিয়দর্শিনীর কাছে গেলো।

-চল মা, গোসল করবি।

-না মা গোসল করবো না, থানা থেকে এসে গোসল করবো, গোসল করতে গিয়েও ফিরে এসেছি।

-চল আজ আমি তোকে নিজে গোসল করিয়ে দিই।

-মা তুমি কি থানায় যাবে না?

নন্দিতা চুপ করে আছে।

-কি হলো মা?

-এসব লোক জানানোর বিষয় না, জানিসই তো এসব শুনলে তোর আর বিয়ে দিতে পারবো না, বাইরে মুখ দেখাতে পারবো না কেউ। চারদিকে মিডিয়া ওঁৎ পেতে আছে এমন ঘটনার জন্য। তোর বাবা মুখ দেখাবে কি করে? তাছাড়া তোর বোনের সংসারটাও শেষ হয়ে যাবে। প্রিয়দর্শিনী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মায়ের উদ্দেশ্যে গালি দিয়ে বলতে লাগল- -কুত্তার বাচ্চা তুই বের হ আমার ঘর থেকে, তুই আমার সামনে আসবি না, তোরা সব বেশ্যা, পর্দার সামনে তোরা নায়িকা আর পিছনে খলনায়িকা। তোরা তোদের মতো আমার জীবনটাকেও শেষ করে দিলি, বের হ আমার ঘর থেকে।

বহু বছর পর...

প্রিয়দর্শিনীর মেয়ে তন্বী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। প্রিয়দর্শিনী খেয়াল করল সেদিন, তন্বীর বড় চাচার ছেলে নিঝু তন্বীকে আদর করার ছলে তল পেটে হাত দিয়েছে, নিঝুর কাছ থেকে তন্বীকে দূরে রাখলেও ভয় তার কাটে না। সারারাত ঘুমাতে পারে না প্রিয়দর্শিনী। মনে পড়ে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই বীভৎস রাতের কথা। এপাশ ও পাশ করতে থাকে। জানতেও পারে না পাশে শুয়ে থাকা মানুষটা। আজও ঘরে সব সময় জ্বলে থাকে তীব্র আলো, তা হোক দিন কিংবা রাত। তবুও অন্ধকার পিছু ছাড়ে না ...।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫