Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

দস্তয়েভস্কি সম্পর্কে টুকরো কথা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২১, ১১:২২

দস্তয়েভস্কি সম্পর্কে টুকরো কথা

ফিওদর মিখাইলোভিচ দস্তয়েভস্কি ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’ উপন্যাসটির জন্য এদেশে বহুল পরিচিত। লেখকরা ছাড়াও উৎসুক পাঠক দস্তয়েভস্কির নানা তথ্য জানতে আগ্রহী হন, ধর্না দেন এ যুগের সবচেয়ে কাছের বন্ধু তথ্য ও তত্ত্ব তালাশের ওয়েব দুনিয়ায়; সারাদুনিয়ার ১৭০টি ভাষায় অনূদিত হওয়া এ লেখকের অনেক গ্রন্থ রয়েছে।

তিনি রুশ সাহিত্যের স্বর্ণযুগের লেখক। তিনি ১৮২১ সালে জন্মেছিলেন- মস্কোতে। এ বছর লেখকের ২০০তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে। গুণী এ লেখকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বিষয়ে টুকরো কিছু তথ্য ওয়েব দুনিয়া থেকে এখানে প্রকাশ করা হলো।  

  • দস্তয়েভস্কি তোতলা ছিলেন; কিন্তু কথা বলতে পছন্দ করতেন। আর সে জন্য তিনি কথা বলার বেশির ভাগ সময়ই তোতলাতেন, যা বলতেন তা খুব কাছের মানুষ ছাড়া কেউ বুঝে উঠতে পারতো না।
  • দস্তয়েভস্কি মৃগী রোগী ছিলেন। এ জন্য তাঁকে ভয়াবহ কষ্ট স্বীকার করতে হতো। 
  • দস্তয়েভস্কি পিটার্সবাগের সামরিক স্কুল ছেড়েছিলেন কেবল তাঁর জ্যামিতিক আঁকাআঁকি ভালো লাগতো না বলে।  
  • ভুল স্বীকার মহৎ গুণ। অনেক বড় বড় বিপদ থেকে এই গুণ বাঁচিয়ে দেয় মানুষকে, তেমনটিই ঘটেছিল এই লেখকের জীবনে। দস্তয়েভস্কি জারবিরোধী বিপ্লবীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এ জন্য তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে লেখকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বদলে মাত্র চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। লেখক পরে বিপ্লব সম্পর্কে তাঁর মত বদলেছিলেন। দস্তয়েভস্কি মনে করতেন, বিপ্লবীরা রাশিয়ার বন্ধু নয়।
  • দস্তয়েভস্কি দাড়ি ভালোবাসতেন। লেখকের দাড়ি নিয়ে তাঁর সমকালীন লেখক দল ফিসফাস করতে তাই ছাড়তেন না। আড়ালে বলাবলি হতো, দস্তয়েভস্কি দাড়ি ঘন করার জন্য ফ্রান্স থেকে ক্রিম আনান। 
  • নিজেকে তিনি দোষ দিতেন, গালমন্দ করতেন। এমনকি সেটা অন্য লোকের সামনেও করতেন।
  • ভালোবাসার ব্যাপারে দস্তয়েভস্কি ছিলেন দারুণ আবেগী। তাই কোনো মেয়ে যদি তাঁর কথায় সায় না দিত- তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়তেন, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতেন।
  • লেখকের জুয়ার নেশা ছিল প্রবল। সে জন্য তাঁর জুয়ার আসরে অর্থহানি ঘটে, সেই সময়ে তিনি প্রকাশকদের অপমানজনক সমস্ত শর্ত মেনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
  • ‘জুয়াড়ি’ উপন্যাসটি লেখক মাত্র ২৬ দিনে লিখেছিলেন। যদি এই সময়ের মধ্যে এটা না লিখতে পারতেন, তাহলে প্রকাশকের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পরবর্তী আট বছর যা লিখতেন, তার সমস্তটাই প্রকাশককে দিতে হতো, একেবারে সম্মানীবিহীন বা বিনে পয়সায়। 
  • ডেডলাইন ধরে যেন লেখা ঠিক সময়ে প্রকাশককে জমা দেওয়া যায়- সে জন্য আন্না স্নিৎকিন নামে এক স্টেনোগ্রাফারকে কাজে নেন দস্তয়েভস্কি। পরে এই নারীকেই আবার বিয়ে করেন তিনি। তাঁর জীবনে আন্নার অবদান অনেক বেশি। দেনার দায় থেকে স্বামীকে বাঁচিয়েছেন স্ত্রী আন্না। তাঁর কারণেই দস্তয়েভস্কি রুলেট নামক জুয়া থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নিতে পেরেছিলেন।
  • দস্তয়েভস্কি তাঁর নিজের স্ত্রীকে লিপিস্টিক দেওয়া, অন্য পুরুষের সামনে হাসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রচণ্ড ঈর্ষা। 
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে দস্তয়েভস্কি ছিলেন অত্যন্ত খুঁতখুঁতে। পোশাকে কোনো ধরনের দাগ বা ময়লা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। 
  • দস্তয়েভস্কি সময়ের ব্যাপারে ছিলেন অতি সচেতন। কখনো সময় দিয়ে তা খেলাপ করতেন না। কারও সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যে সময় দিতেন, তার এক মিনিট পরে কোনো দিন উপস্থিত হননি। আর কেউ যদি সময় ঠিক রাখতে না পারত, তাহলে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন না। চলে যেতেন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫