নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৯:০৭

কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন
নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন আজ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিনটি উদযাপন করছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। গাজীপুরের পিরুজআলী নুহাশ পল্লীতে কেক কাটাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই হুমায়ূন বক্তারা গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে আসেন। হুমায়ুন আহমেদের ভক্তদের পাশাপাশি তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিশাত ও নিনিত, প্রকাশকসহ তার স্বজনরা অনুষ্ঠানে যোগদেন ।
নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের পিরুজালী নুহাশ পল্লীতে রাত ১২ টা ১মিনিটে ১০৭৩টি মোমবাতি প্রজ্বলন করে দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সকালে লেখকের পরিবার, নুহাশ পল্লীর স্টাফ, ভক্ত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। পরে লেখকের ম্যুরালের সামনে কেক কাটা হয়। হুমায়ূন ভক্ত ও পাঠকরা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় আজীবন লেখককে স্মরণ করে যাবেন বলে জানান। হুমায়ূন ভক্ত এরশাদুল আলম জানান, তার লেখা বই ও সৃজনশীলতা আজীবন স্মৃতি হিসেবে থাকবে। দ্বিতীয় হুমায়ূন বাংলাদেশে আর জন্ম হবে না। তার স্মৃতির জন্যই প্রতিবছর গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে আসেন বলেও জানান তিনি।
নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, হুমায়ূন আহমদকে না পেলেও তার সৃষ্টির মধ্যে তাকে খুঁজেপান নুহাশ পল্লী পরিবারের সদস্যরা। এজন্যই বরাবরের মতো নানা আনুষ্ঠানিকতায় লেখককে স্মরণ করার কথা জানান নুহাশ পল্লীর এই কর্মকর্তা।
লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে এই পেন্ডামিককালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পাঠ করছেন এবং তার লেখার মধ্য দিয়ে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন। তার লেখা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। গবেষণায় যেন কোনো ভুল তথ্য উপস্থাপন না হয়, সে জন্যে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান শাওন ।
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিন। নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় তাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।