
প্রতীকী ছবি
motion-এর হাড়হদ্দ জানতে হলে এই শব্দের ‘ঃ’ ধ্বনিকে উচ্চারণ করে পড়তে হবে। তাতে শব্দটির উচ্চারিত রূপ হয় মোটিঅন, যাকে বাংলায় মতিঅনও বলা যায়। motion-এর মধ্যে যে ‘সবজি’ বীজ তা বাংলার মী-এর সমতুল্য। এর অর্থ মতি; মনের গতিময় অবস্থার নাম মতি। এ জন্য মতিগতি দুটি শব্দের সমষ্টি হলেও তা একে অপরের পরিপূরক। যা মতি তা-ই গতি। একটি বিশ্বমানের লাগাতার লীলা চলছে মহাজগতে। তার moti (মতি) on (অন) থাকায় যে moti-on (মতিঅন) চলমান সেই motion-এর অংশীদার সমগ্র জীব ও জড়কুল।
মানুষের মন বা মতির গতি থেকে বেগ বি অর্থাৎ out হলে তার নাম ব-motion; emotion-এ motion অনেকটাই অপরিণত। কারণ সেখানে ‘মতি’ বাবাজি ‘মদন’-এর খপ্পরে পড়ে। মদনমুক্ত হতে গেলে আংশিক মতি (moti)-কে পুরা মতিতে on করে নিতে হয়। এভাবে পুরা মতি অন (on) হলে তাকে বলা যায় pro-moti-on (প্র-মতি-অন) বা promotion (প্রমোশন)। মতিতে দোষ ঢুকে গেলে সেটা দোষ-মতি-অন বা de-moti-on (demotion)। মানবশরীরে motion-এর প্রধান কার্যালয় কপাল বা মস্তিষ্কে। এখানে মতি বা বোধির সুষ্ঠু পরিচর্যা হলে সেই moti সুমতির অধিকারী হয়; অন্যথায় মতি যদি এখানে তার বোধিকে হারিয়ে ফেলে তবে তার কপালে নির্ঘাত বিমতি। এই বিমতির খেসারত কিভাবে দিতে হয় তা লালনপদে উঠে এসেছে নিম্নোক্ত চরণে- ‘কপালে বিমতি হলে দুবলোবনে বাঘে মারে।’