
বইয়ের প্রচ্ছদ
একজন সংস্কৃতকর্মী, লেখক কিংবা একজন সচেতন মানুষের বাংলাদেশের রাজনীতি বিশ্লেষণের জন্য এর ভেতরকার সাংস্কৃতিক রাজনীতিও বোঝা জরুরি। সম্প্রতি এ বিষয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম প্রণীত ‘সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশ’ নামের বইটি সংহতি প্রকাশন বাজারে এনেছে। বইটিতে তিনটি পর্বে বিভক্ত প্রবন্ধগুলো। খুবই সুচিন্তিতভাবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতির কয়েকটি প্রধান দিকের পর্যালোচনা করা হয়েছে।
প্রথম পর্বে উনিশ-বিশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন ও প্রসঙ্গ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে তাত্ত্বিক পটভূমি ও বিস্তার। দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছু টেক্সট বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, চেতন-অচেতন নির্মাণে ঐ প্রশ্ন ও প্রসঙ্গগুলো কীভাবে কাজ করছে, এবং তৃতীয় পর্বে রয়েছে ২টি অনুষঙ্গ। যেগুলো কাজ করে সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। রয়েছে ‘কৃতজ্ঞতাপত্র’, ‘সূচনাপত্র’ এবং ‘সহায়কপঞ্জি’। প্রবন্ধসংখ্যা ১৬টি। গ্রন্থটিতে অধ্যাপক আজম মূলত সংস্কৃতিকে মূল ভিত্তি হিসেবে বিশ্লেষণ করেছেন। লেখকের প্রথম ও প্রধান প্রস্তাব, বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি মূলত সাংস্কৃতিক রাজনীতিরই বিকট প্রকাশ। কথাটা শিথিল অর্থে যে কোনো রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে মাত্রাগত দিক থেকে এবং বিভাজনের রাজনীতিকে উৎসাহিত করার দিক থেকে বাংলাদেশে কথাটার আরো সুনির্দিষ্ট অর্থ তৈরি হয়েছে।
এছাড়া ভূ-রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন বিবর্তনী ব্যাকরণ, বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার লড়াই, এর পেছনে সংস্কৃতির ভাঙা সেতুর ধ্বসে পড়া অবস্থা-এ কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দুর্দশাকে জানতে সাংস্কৃতিক রাজনীতির তত্ত্বতালাশ এ মুহূর্তে জরুরি। সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের এখানে গবেষণা কম হয়েছে এমনটিও নয়। তবে সমকালে আজম প্রণীত ‘সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশ’ পাঠকের অসংখ্য প্রশ্নকে বিশ্লেষণ করবে এবং নতুন প্রশ্নের জন্ম দেবে।
লেখক : মোহাম্মদ আজম
প্রচ্ছদ : নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
প্রকাশন : সংহতি প্রকাশন
দাম : ৬০০ টাকা
প্রকাশকাল : মাঘ ১৪২৮