
প্রতীকী ছবি
বাঙাল মুলুকের পন্ডিতের দেখি লাঁকাফুকোদেরিদায় তাঁহাদের চেয়ে বেশি
হাইপার হাইব্রিডে রক্তমাংসের সাইবর্গ
প্রলাপে পগার উঠিয়ে এনে মস্তকে ঢেলে দেয় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার
তালা ও তানপুরা হাতে চাবীর ধারণাই হাওয়া হয়ে গেছে
ভনিতার বিকারে চন্দ্রাহত নন্দনেরকালে এইসব বিকৃত মুখ মর্মরে মসৃণ
বিভৎস অনুরাগে তটস্থ শ্যামলিমা মুর্ছিত হলেই নিভে যায় লজিক্যাল ক্র্যাক
সজীব প্রাণের সাথে দেখা নেই কতোকাল আহা
এইসব শুটকো খসখস ছেড়ে নিটোল নদীর সাথে জীবনের যতটুকু ভাব
তার কিছু জমা হলে একটি নতুন দোকানের তাকে সাজিয়ে রাখার বাসনা করেছি
ঘনদিনের সাথে অচুক্তির এই প্যারাডাইম
প্রবল স্রোতের মতো পশ্চিম চকচকে প্রতারণায় ঘুরিয়ে দিচ্ছে মাথা
ভনভনে মাথায় বিন্দুসরোবরে কপিলপদ্মের ভোর কেবলি কুয়াশার বিষণ্ণ দেয়ালের খাঁজ
পতঞ্জলিকেও সেই কবে ভোগ-বিদঘুটে টেকনোলজির হাটে সস্তায় দিয়েছি বেচে
আর বৃহস্পতি, তাকে তো ঘিয়ের রসিক সাজিয়ে করেছি কোটি কোটি ডলারের ঋণ
পরম্পরার অনুক্ত ভাণ্ডারে কোনো সাড়াশব্দ নেই
প্রলয়ঙ্করি ঝড়ের পরে গলিত লাশের যেনো সৎকারহীন বিজন প্রান্তর
আর যারা দীর্ঘ যানজটে বসে থাকা কোলাহল দেখে ভাবে এখানে রয়ে গেছে বিস্তর শব্দ প্রয়াস
তাদের আহ্লাদী নাম অকালকুষ্মাণ্ডের ছন্দপদী
বংশপরিচয়ে লিপিভ্রম হয়ে ভবিতব্যহীন আষাঢ়ে বিলাপ চিত্রিত থাকে বলেই
কান খাড়া থাকলেও সবকিছু নেতিয়ে গেছে নোয়ানোর অনেক আগেই।