কী অলস মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা পুরনো
অথচ ক্রমশ বদলে যাওয়া শহর আর সুতীব্র
তীরের মতো সময়, একি ক্লান্তিকর সমান্তরাল
বয়ে চলা এবং বিস্তর দূরত্বে আমরা দুজন।
এখানে ওখানে ধুকপুক আশায় আশায় ঘুরে ফিরি।
না ঘুরলেও পারা যেত। না খুঁজলেও পাওয়া যেত।
আমাদের কখনই না হয়ে ওঠা বেগুনি নীল সন্ধ্যাবেলা,
কালো কিন্তু জ্বলন্ত মাঝরাত, আমাদের কুসুম কুসুম
সকাল কিংবা রোদে মেঘে দুর্দান্ত অফ হোয়াইট দুপুরগুলো।
সবই ছুটে চলেছে অবিরাম, আমাদেরকে ছাড়াই।
না হলেও পারতো এমনটা, কারো কিছু যায় আসতো
না কখনই।
আমরা আসলে কী চাই, অথবা মানুষ বাঁচে কেন?
এ শহরের অক্সিজেনে মিশে আছে তোমার বুকের
বাম পাশ ঘুরে আসা নির্মল কার্বন- ডাই- অক্সাইড।
আমি প্রাণভরে বেঁচে থাকি তাই। তুমি টের পাও?
এতো সময় কোথায় তোমার? আচ্ছা আমার মতো কী-
এই বোকা শহর আর সময়টাও তোমাকে কেন্দ্র করে
ঘুরে মরছে? খুঁজে মরছে? অযথা? অর্থহীন?
না ঘুরলেও পারা যেত। না খুঁজলেও পাওয়া যেত।
একটা ছোট কিন্তু গোটা শহর শেষ হয়ে গেলো।
একটা একা কিন্তু তুমুল সময় গেলো কেটে।
না হলেও পারতো এমন। কারো কিছু যায়
আসতো না। কখনো।
আমরা আসলে কী চাই, অথবা মানুষ বাঁচে কেন?