Logo
×

Follow Us

শিল্প-সাহিত্য

এই হতভাগা দৌড়ে বেড়াচ্ছিস যে পড়া হয়েছে?

Icon

শোয়াইব আহম্মেদ

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:১৪

এই হতভাগা দৌড়ে বেড়াচ্ছিস যে পড়া হয়েছে?

কুদরাত-এ-খুদা। ছবি: সংগৃহীত

কুদরাত-এ-খুদা গত শতকের প্রতিভাবান বাঙালি বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি অসংখ্য আবিষ্কার করেছেন। দেশভাগের পূর্বে কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

তিনি সে সময়ে এত বেশি প্রভাববিস্তার বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষক  ছিলেন যে চারদিকে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল।

কিংবদন্তিতুল্য এই বিজ্ঞানীকে নিয়ে লিখেছেন- শোয়াইব আহম্মেদ

পরিবারের সবাই চাইত কুদরাত-এ-খুদা কোরআনের হাফেজ হোক। এ জন্য তাঁকে ছোটবেলায় হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তিও করা হয়েছিল; তাঁর এক চাচাতো ভাই কুদরাত-এ-খুদার জন্য উপহার এনেছিলেন বর্ণবোধ নামে একখানা আদর্শলিপির বই। এক পয়সা মোটে দাম ছিল সেই বইটির। একদিন সকালে সেই চাচাতো ভাই কুদরাত-এ-খুদাকে কাছে ডাকলেন।

বইটি মেলে ধরে কিছু পড়া দেখিয়ে দিলেন। বললেন, পড়াগুলো যেন ঠিক ঠিকভাবে করা হয়; কিন্তু দুপুর না হতেই দেখলেন কুদরাত-এ-খুদা পড়া বাদ দিয়ে খেলা করে বেড়াচ্ছেন। চাচাতো ভাই হেঁকে বললেন- ‘এই হতভাগা দৌড়ে বেড়াচ্ছিস যে পড়া হয়েছে?’ জবাবে কুদরাত-এ-খুদা বললেন, ‘হয়েছে’।

ভাই ছোট্ট খুদা’র কথা বিশ্বাস করলেন না। যাচাই করার জন্য তাঁকে বইটা আনতে বললেন; কিন্তু পড়া ধরার পর প্রমাণ হলো কুদরাত-এ-খুদা মিথ্যে বলেননি। ঠিক-ঠিকই পড়াগুলো করে ফেলেছেন! চাচাতো ভাই তাঁর মেধার পরিচয় পেয়ে অবাক হলেন। তিনি চাচা-চাচিকে অনুরোধ করলেন খুদাকে যেন স্কুলে ভর্তি করানো হয়।

সেই অনুরোধে কুদরাত-এ-খুদাকে স্কুলে ভর্তি করানো হলো। ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার বীরভূম জেলার মাড়গ্রামে। ১৯০০ সালের ১ ডিসেম্বর। বাবা খোন্দকার আবদুল মুকিত। তিনিও উচ্চশিক্ষিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেছিলেন আবদুল মুকিত; কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের গোলামি করতে রাজি ছিলেন না।

তাই চাকরি করেননি কখনো। আবদুল মুকিত খুব ধর্মভীরু ছিলেন। তিনি কলকাতার তালতলার এক পীরের মুরিদ ছিলেন। কুদরাত-এ-খুদা যেদিন জন্মালেন, সেদিন তিনি ওই পীরের দরগায় ছিলেন। সেই পীর সাহেবই ছেলের নাম রাখলেন মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫