গ্রন্থমেলা হলো- সৃজনশীলতার প্রকাশ: দীপক রায়

জি এ এইচ শাহীন
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:০৬

শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এ মেলা বাংলা ভাষাভাষী লেখক-প্রকাশক-পাঠকের এক সম্মিলন ক্ষেত্র। অমর একুশের এ মেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো- কিছু প্রশ্নও করা হয়েছিলো সাম্প্রতিক দেশকাল-এর সাহিত্য বিভাগের পক্ষ থেকে, মেলায় তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এবারের আয়োজন- প্রকাশকের মুখোমুখি। গ্রন্থনা করেছেন- জি এ এইচ শাহীন।
গ্রন্থমেলা হলো- সৃজনশীলতার প্রকাশ: দীপক রায়
প্রকাশক- সংহতি প্রকাশন
অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের ইতিহাস, সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও অনুভূতি বিজড়িত। এ কারণে আমরা লেখক-পাঠক-প্রকাশকরা পুরো বছর ধরে এর জন্য অপেক্ষা করি। মেলা নিয়ে থাকে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং নতুন নতুন বই প্রকাশের উদ্যম। এবারো এর ব্যতিক্রম নয়, প্রস্তুতি আশাব্যঞ্জক।
এ বছর একুশের গ্রন্থমেলাতেও আমরা পাঠকদের কাছে পূর্বের তুলনায় আরো ভালো বই নিয়ে হাজির হতে চেয়েছি। আমাদের প্রয়াস সংহতির বই সবসময়ের জন্য- চিন্তায়, মননে, সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ বই হবে। আমরা মনে করি, মলাটবদ্ধ ছাপানো কাগজ মানেই গ্রন্থ নয়, গ্রন্থ হতে হলে তার একটা শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক অবস্থিতি বজায় রাখতে হয়। এবং সেটাকে হতে হয় সু-সম্পাদিত।
তাই পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নবীন-প্রবীণ বিষয় আমরা পার্থক্য করি না। আমাদের কাছে ভালো পাণ্ডুলিপির গুরুত্বই সর্বাগ্রে। উদাহরণ হিসেবে বলি- এবছর কল্লোল মোস্তফার ১টা অনুবাদের বই প্রকাশিত হচ্ছে। দেশে দেশে আধিপত্যবিরোধী ও মানুষের মুক্তির লড়াই নিয়ে এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কল্লোল মোস্তফা- দীর্ঘদিন ব্লগে, পত্র-পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখালেখির কারণে সুপরিচিত থাকলেও এটাই তার প্রথম একক কোনো গ্রন্থ।
এর চেয়ে আরো ভালো কোনো পাণ্ডুলিপি পেলে তা প্রকাশ করতে দ্বিধা আমরা করতাম না। ভালো বই বের করার কোনো বিকল্প চিন্তা আমরা করি না। আমরা সারাবছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপির সন্ধানে থাকি এবং কাজগুলো করতে থাকি। আমাদের গ্রন্থসংখ্যা- ১০৫টি।
এবারের মেলায়- রাজনৈতিক, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ধর্মতত্ত্বের ওপর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি- গ্রন্থমেলা হলো সৃজনশীলতার সেই প্রকাশ- যেখানে কাজ-আড্ডা-ব্যবসা-মেলা হাত ধরাধরি করে একসূত্রে এগিয়ে যাবে।