
ছবি: সংগৃহীত
অ্যাডগার অ্যালান পো, একজন ইংরেজ কবি, ছোটগল্প লেখক, সাহিত্য সমালোচক এবং ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও গোয়েন্দা গল্পের স্রষ্টা। তাঁর লেখা গল্প, উপন্যাস এবং কবিতার মাঝের ভৌতিকতা এবং রহস্যের আবহাওয়া আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই তো তার নাম শুনলেই প্রথমে মাথায় চলে আসে খুন, রহস্যময় কোনো কাক, জীবন্ত কবর এবং মৃত্যুর পর ফিরে আসা অদ্ভুত কোনো নারীর ছবি। নীল চোখের এবং কালো কোটপরা বিষণ্ণ চেহারার এই মানুষটির রহস্যময় মৃত্যু এবং সংগ্রাম ও বিচিত্রতায় ভরা জীবনও পাঠকদের আকৃষ্ট করে সমানভাবে। রয়েছে তাঁর মৃত্যু নিয়ে অদ্ভুত সব ভৌতিক গল্প। তাঁর লেখা প্রিয় বেড়াল নিয়ে গল্প আজও বিখ্যাত পৃথিবীর মানুষের কাছে। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন- ফারহানা হক
অ্যাডগার অ্যালান পো ১৮৪০ সালে তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘গ্রাহামস লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ থেকে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘দ্য মার্ডার ইন দ্য রিউ মর্গ’ প্রকাশ করেন। ১৮৪৩ সালে তার ‘দ্য গোল্ড বাগ’ গল্পটি ফিলাডেলফিয়ার ‘ডলার নিউজপেপার’ থেকে ১০০ ডলার পুরস্কার জিতলে এটি তাকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ১৮৪৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ‘আমেরিকান রিভিউ’ থেকে তার কালজয়ী কবিতা ‘দ্য র্যাভেন’ প্রকাশিত হয়। এটি রাতারাতি তাকে দেশজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ভৌতিক এবং রহস্য গল্পের জন্য তাঁর খ্যাতিও বাড়তে থাকে। কিছুকালের জন্য সুখে কাটালেও আবার ঝড় নেমে আসে পোর জীবনে। ১৮৪৭ সালের জানুয়ারি মাসে একটি সেমিনারে বক্তৃতা দিতে তিনি যখন শহরের বাইরে ছিলেন, এমন সময় তার স্ত্রী ভার্জিনিয়া টিউবারকুলেসিসে মারা যান। পোর জীবনে নেমে আসে বিষণ্ণতার আরেকটি গাঢ় অধ্যায়। মৃত স্ত্রীর স্মৃতি ভোলার জন্য তিনি নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে আসেন এবং বাউ-ুলের মতো বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ঘুরতে ঘুরতে তার দেখা হয়ে যায় প্রাক্তন প্রেমিকা সারাহ’র সঙ্গে। সারাহও তখন বিধবা অবস্থায় ছিলেন, কয়েক বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছিল তার। সারাহকে পেয়ে তখন পো’র কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়। সারাহ তাঁকে তার আর্থিক এবং মানসিক বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানাভাবে সাহায্য করেন এবং একসময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র দশ দিন আগে ১৮৪৯ সালের ৭ অক্টোবর অ্যাডগার অ্যালান পোর আকস্মিক মৃত্যু হয়।
অ্যাডগার অ্যালান পোর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিচিত্র ঘটনা। তিনি যখন মারা যান তখন তিনি ফিলাডেলফিয়া যাচ্ছিলেন একটি কবিতার বই সম্পাদনার জন্য। তার লেখা শেষ চিঠিটি ছিল কবি মিসেস সেইন্ট লিওন লাউডের উদ্দেশে, তিনি তাঁর সঙ্গে একটি সাক্ষাতের সময় রেখেছিলেন। যেদিন তার রিচমন্ড ছেড়ে ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা, তার আগের রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং তার ডাক্তার বন্ধু জন কার্টারের বাসায় যান। জন তাকে আরও কয়েক সপ্তাহ রিচমন্ড থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু জনের কথা না শুনে পরের দিনই তিনি ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রওনা দেওয়ার পর বেশ কয়েকদিন পো নিখোঁজ ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই তার মৃত্যুর ঠিক চার দিন আগে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় রায়ানস ফোর্থ ওয়ার্ডের নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে। সেদিন সেখানে ভোট জালিয়াতি চলছিল। বেশকিছু ভোট জালিয়াতরা সাধারণ মানুষদের ধরে এনে এনে তাদের দলে ভোট দিতে বাধ্য করেছিল এবং মারধর করেছিল। পোকে সেখানে অবচেতনভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং এর চার দিন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অনেকের মতে, তিনি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন আর এ কারণেই হয়তো পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। পোর কয়েকজন বন্ধু গুজব ছড়ায় পো ভোটকেন্দ্রে মাতাল অবস্থায় পড়ে ছিল। আর পোর প্রতিদ্বন্দ্বী কবি উইলমোট গ্রিসল্ড পোর মৃত্যুর পর একটি শোক সংবাদ লেখেন যেখানে তাকে মাতাল, নারীদের প্রতি আসক্ত, অদ্ভুত এবং বেশ বাজে চরিত্রের একজন মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়। পোর সৎকার অনুষ্ঠানে মাত্র সাতজন উপস্থিত ছিল। আশ্চর্য হলো- তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ভৌতিক কাহিনীও শোনা যায়। তাঁর একটি পোষা বিড়াল ছিল, অ্যালেন তাঁর প্রিয় এই বেড়ালটিকে প্রায় সময়ই নিজের কাঁধের ওপর রেখে লিখতেন।
পোর মৃত্যুর পর যখন তাঁর শাশুড়িকে যখন মৃত্যু সংবাদটি দেওয়া হয় তিনি বিড়ালটিকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান। পোকে নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুতুড়ে ব্যপারটি হলো মৃত্যুর পরও তাঁর লেখালেখি চলতে থাকে! ১৮৬০ সালে লিজ্জি ডোটেন নামের একজন মহিলা কবি বেশ কিছু কবিতা প্রকাশ করেন। আর তিনি দাবি করেন পোর প্রেতাত্মা তাঁকে কবিতাগুলো বলে গিয়েছেন। এই কথা শোনার পর পোর বাগদত্তা সারাহ ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে থাকতে চলে যান এই ভেবে যে- হয়তো পোর সেই প্রেতাত্মা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করবে! আর এই অ্যালেনের বেড়াল নিয়ে লেখা গল্প আজও সমান বিখ্যাত পৃথিবীর পাঠকের কাছে।
অ্যাডগার অ্যালান পো ১৮৪০ সালে তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘গ্রাহামস লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ থেকে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘দ্য মার্ডার ইন দ্য রিউ মর্গ’ প্রকাশ করেন। ১৮৪৩ সালে তার ‘দ্য গোল্ড বাগ’ গল্পটি ফিলাডেলফিয়ার ‘ডলার নিউজপেপার’ থেকে ১০০ ডলার পুরস্কার জিতলে এটি তাকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ১৮৪৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ‘আমেরিকান রিভিউ’ থেকে তার কালজয়ী কবিতা ‘দ্য র্যাভেন’ প্রকাশিত হয়। এটি রাতারাতি তাকে দেশজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ভৌতিক এবং রহস্য গল্পের জন্য তাঁর খ্যাতিও বাড়তে থাকে। কিছুকালের জন্য সুখে কাটালেও আবার ঝড় নেমে আসে পোর জীবনে। ১৮৪৭ সালের জানুয়ারি মাসে একটি সেমিনারে বক্তৃতা দিতে তিনি যখন শহরের বাইরে ছিলেন, এমন সময় তার স্ত্রী ভার্জিনিয়া টিউবারকুলেসিসে মারা যান।
পোর জীবনে নেমে আসে বিষণ্ণতার আরেকটি গাঢ় অধ্যায়। মৃত স্ত্রীর স্মৃতি ভোলার জন্য তিনি নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে আসেন এবং বাউন্ডুলের মতো বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ঘুরতে ঘুরতে তার দেখা হয়ে যায় প্রাক্তন প্রেমিকা সারাহ’র সঙ্গে। সারাহও তখন বিধবা অবস্থায় ছিলেন, কয়েক বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছিল তার। সারাহকে পেয়ে তখন পো’র কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়। সারাহ তাঁকে তার আর্থিক এবং মানসিক বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানাভাবে সাহায্য করেন এবং একসময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র দশ দিন আগে ১৮৪৯ সালের ৭ অক্টোবর অ্যাডগার অ্যালান পোর আকস্মিক মৃত্যু হয়। অ্যাডগার অ্যালান পোর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিচিত্র ঘটনা। তিনি যখন মারা যান তখন তিনি ফিলাডেলফিয়া যাচ্ছিলেন একটি কবিতার বই সম্পাদনার জন্য। তার লেখা শেষ চিঠিটি ছিল কবি মিসেস সেইন্ট লিওন লাউডের উদ্দেশে, তিনি তাঁর সঙ্গে একটি সাক্ষাতের সময় রেখেছিলেন।
যেদিন তার রিচমন্ড ছেড়ে ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা, তার আগের রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং তার ডাক্তার বন্ধু জন কার্টারের বাসায় যান। জন তাকে আরও কয়েক সপ্তাহ রিচমন্ড থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু জনের কথা না শুনে পরের দিনই তিনি ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রওনা দেওয়ার পর বেশ কয়েকদিন পো নিখোঁজ ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই তার মৃত্যুর ঠিক চার দিন আগে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় রায়ানস ফোর্থ ওয়ার্ডের নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে। সেদিন সেখানে ভোট জালিয়াতি চলছিল। বেশকিছু ভোট জালিয়াতরা সাধারণ মানুষদের ধরে এনে এনে তাদের দলে ভোট দিতে বাধ্য করেছিল এবং মারধর করেছিল। পোকে সেখানে অবচেতনভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং এর চার দিন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। অনেকের মতে, তিনি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন আর এ কারণেই হয়তো পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়।
পোর কয়েকজন বন্ধু গুজব ছড়ায় পো ভোটকেন্দ্রে মাতাল অবস্থায় পড়ে ছিল। আর পোর প্রতিদ্বন্দ্বী কবি উইলমোট গ্রিসল্ড পোর মৃত্যুর পর একটি শোক সংবাদ লেখেন যেখানে তাকে মাতাল, নারীদের প্রতি আসক্ত, অদ্ভুত এবং বেশ বাজে চরিত্রের একজন মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়। পোর সৎকার অনুষ্ঠানে মাত্র সাতজন উপস্থিত ছিল। আশ্চর্য হলো- তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ভৌতিক কাহিনীও শোনা যায়। তাঁর একটি পোষা বিড়াল ছিল, অ্যালেন তাঁর প্রিয় এই বেড়ালটিকে প্রায় সময়ই নিজের কাঁধের ওপর রেখে লিখতেন। পোর মৃত্যুর পর যখন তাঁর শাশুড়িকে যখন মৃত্যু সংবাদটি দেওয়া হয় তিনি বিড়ালটিকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান। পোকে নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুতুড়ে ব্যপারটি হলো মৃত্যুর পরও তাঁর লেখালেখি চলতে থাকে! ১৮৬০ সালে লিজ্জি ডোটেন নামের একজন মহিলা কবি বেশ কিছু কবিতা প্রকাশ করেন। আর তিনি দাবি করেন পোর প্রেতাত্মা তাঁকে কবিতাগুলো বলে গিয়েছেন। এই কথা শোনার পর পোর বাগদত্তা সারাহ ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে থাকতে চলে যান এই ভেবে যেভাবে হয়তো পোর সেই প্রেতাত্মা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করবে! আর এই অ্যালেনের বেড়াল নিয়ে লেখা গল্প আজও সমান বিখ্যাত পৃথিবীর পাঠকের কাছে।
অ্যাডগার অ্যালান পো ১৮৪০ সালে তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘গ্রাহামস লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ থেকে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘দ্য মার্ডার ইন দ্য রিউ মর্গ’ প্রকাশ করেন। ১৮৪৩ সালে তার ‘দ্য গোল্ড বাগ’ গল্পটি ফিলাডেলফিয়ার ‘ডলার নিউজপেপার’ থেকে ১০০ ডলার পুরস্কার জিতলে এটি তাকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ১৮৪৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ‘আমেরিকান রিভিউ’ থেকে তার কালজয়ী কবিতা ‘দ্য র্যাভেন’ প্রকাশিত হয়। এটি রাতারাতি তাকে দেশজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ভৌতিক এবং রহস্য গল্পের জন্য তাঁর খ্যাতিও বাড়তে থাকে। কিছুকালের জন্য সুখে কাটালেও আবার ঝড় নেমে আসে পোর জীবনে। ১৮৪৭ সালের জানুয়ারি মাসে একটি সেমিনারে বক্তৃতা দিতে তিনি যখন শহরের বাইরে ছিলেন, এমন সময় তার স্ত্রী ভার্জিনিয়া টিউবারকুলেসিসে মারা যান।
পোর জীবনে নেমে আসে বিষণ্ণতার আরেকটি গাঢ় অধ্যায়। মৃত স্ত্রীর স্মৃতি ভোলার জন্য তিনি নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে আসেন এবং বাউ-ুলের মতো বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ঘুরতে ঘুরতে তার দেখা হয়ে যায় প্রাক্তন প্রেমিকা সারাহ’র সঙ্গে। সারাহও তখন বিধবা অবস্থায় ছিলেন, কয়েক বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছিল তার। সারাহকে পেয়ে তখন পো’র কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়। সারাহ তাঁকে তার আর্থিক এবং মানসিক বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানাভাবে সাহায্য করেন এবং একসময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র দশ দিন আগে ১৮৪৯ সালের ৭ অক্টোবর অ্যাডগার অ্যালান পোর আকস্মিক মৃত্যু হয়। অ্যাডগার অ্যালান পোর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিচিত্র ঘটনা।
তিনি যখন মারা যান তখন তিনি ফিলাডেলফিয়া যাচ্ছিলেন একটি কবিতার বই সম্পাদনার জন্য। তার লেখা শেষ চিঠিটি ছিল কবি মিসেস সেইন্ট লিওন লাউডের উদ্দেশে, তিনি তাঁর সঙ্গে একটি সাক্ষাতের সময় রেখেছিলেন। যেদিন তার রিচমন্ড ছেড়ে ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা, তার আগের রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং তার ডাক্তার বন্ধু জন কার্টারের বাসায় যান। জন তাকে আরও কয়েক সপ্তাহ রিচমন্ড থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু জনের কথা না শুনে পরের দিনই তিনি ফিলাডেলফিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রওনা দেওয়ার পর বেশ কয়েকদিন পো নিখোঁজ ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই তার মৃত্যুর ঠিক চার দিন আগে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় রায়ানস ফোর্থ ওয়ার্ডের নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে। সেদিন সেখানে ভোট জালিয়াতি চলছিল। বেশকিছু ভোট জালিয়াতরা সাধারণ মানুষদের ধরে এনে এনে তাদের দলে ভোট দিতে বাধ্য করেছিল এবং মারধর করেছিল। পোকে সেখানে অবচেতনভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং এর চার দিন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। অনেকের মতে, তিনি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন আর এ কারণেই হয়তো পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। পোর কয়েকজন বন্ধু গুজব ছড়ায় পো ভোটকেন্দ্রে মাতাল অবস্থায় পড়ে ছিল।
আর পোর প্রতিদ্বন্দ্বী কবি উইলমোট গ্রিসল্ড পোর মৃত্যুর পর একটি শোক সংবাদ লেখেন যেখানে তাকে মাতাল, নারীদের প্রতি আসক্ত, অদ্ভুত এবং বেশ বাজে চরিত্রের একজন মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়। পোর সৎকার অনুষ্ঠানে মাত্র সাতজন উপস্থিত ছিল। আশ্চর্য হলো তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ভৌতিক কাহিনীও শোনা যায়। তাঁর একটি পোষা বিড়াল ছিল, অ্যালেন তাঁর প্রিয় এই বেড়ালটিকে প্রায় সময়ই নিজের কাঁধের ওপর রেখে লিখতেন। পোর মৃত্যুর পর যখন তাঁর শাশুড়িকে যখন মৃত্যু সংবাদটি দেওয়া হয় তিনি বিড়ালটিকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান। পোকে নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুতুড়ে ব্যপারটি হলো মৃত্যুর পরও তাঁর লেখালেখি চলতে থাকে! ১৮৬০ সালে লিজ্জি ডোটেন নামের একজন মহিলা কবি বেশ কিছু কবিতা প্রকাশ করেন। আর তিনি দাবি করেন পোর প্রেতাত্মা তাঁকে কবিতাগুলো বলে গিয়েছেন। এই কথা শোনার পর পোর বাগদত্তা সারাহ ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে থাকতে চলে যান এই ভেবে যে- হয়তো পোর সেই প্রেতাত্মা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করবে! আর এই অ্যালেনের বেড়াল নিয়ে লেখা গল্প আজও সমান বিখ্যাত পৃথিবীর পাঠকের কাছে।