Logo
×

Follow Us

এশিয়া

সিঙ্গাপুরের ১৮০ বছরের রেসকোর্স বন্ধ হতে চলেছে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১৪:৪৪

সিঙ্গাপুরের ১৮০ বছরের রেসকোর্স বন্ধ হতে চলেছে

রেসকোর্স সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রটির একমাত্র রেসকোর্স সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাবে আগামী বছর শেষবারের মতো বসতে যাচ্ছে ঘোড়দৌড়ের আসর আর এর মধ্যদিয়েই সিঙ্গাপুরের ১৮০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড়ের ইতিহাসের অধ্যায়ের সমাপ্তি হতে চলেছে। 

আর এরপরেই রেসকোর্সের জন্য ব্যবহৃত ১২০ হেক্টরের জমিটি ফেরত নিয়ে সরকার সেখানে সরকারি ও বেসরকারি আবাসন নির্মাণ করে জনস্বার্থে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।

ঘোড়দৌড়ের প্রতি অনুরাগী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর তারই নামানুসারে এই মাঠে একটি প্রতিযোগিতা এতদিন ধরে হয়ে আসছিল। 

১৯৭২ সালে সিঙ্গাপুর সফরকালে ওই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতও ছিলেন রানি। এরপর ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই মাঠে আসেন তিনি ।

গত সোমবার সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড়ের একটি সুদীর্ঘ ও বিশেষ ইতিহাস রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর গ্র্যান্ড সিঙ্গাপুর গোল্ড কাপের শততম আসর পর্যন্ত এখানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা চলবে। এ সময় ক্রীড়াসুলভ আচরণ, নিরাপত্তা ও সব বর্ণের মানুষের অখণ্ডতা নিশ্চিত করা হবে।’

প্রথম ১৮৪২ সালে সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। তৎকালীন স্কটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম হেনরি ম্যাক্লিওড রিড ও কয়েকজনের উদ্যোগে গড়ে উঠে সিঙ্গাপুর স্পোর্টিং ক্লাব।

পরে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রে অবস্থিত ফেরার পার্কের কর্দমাক্ত এই ভূমিকে রেসকোর্সে পরিণত করেন তারা। এরপর ১৯২৪ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব। 

ইউরোপীয়দের পাশাপাশি মালয় ও চীনাদের আকৃষ্ট করে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার প্রচলন  শুরু হয়। 

ক্রমাগত জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলের বুকিত তিমাহ এলাকায় ১৯৩৩ সালে বড় পরিসরে এটিকে স্থানান্তর করা হয়।

সবশেষ ২০০০ সালের মার্চে দ্বীপের উত্তরের ক্রানজিতে স্থানান্তর করা হয় সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব।

৫শত মিলিয়ন সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ে নির্মিত এই রেসকোর্সে রয়েছে ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাঁচতলা গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড।

দেশটির সরকার বলছে, সিঙ্গাপুর একটি সীমিত ভূমির দেশ। আর তাই বর্তমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত ভূমি নিশ্চিতে নিয়মিত ভূমি পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে থাকে সরকার।

তবে এই জমি বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্যও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। 


সূত্র : বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫