শাবককে বাঁচাতে একে একে অন্য হাতিরা খাদে পড়ে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষের ধারণা। ছবি: বিবিসি
থাইল্যান্ডে একটি জলপ্রপাতের খাদে পড়ে ছয়টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যানে ঝর্ণার উপর থেকে একটি বাচ্চা হাতি পিছলে পড়ে গেলে সেটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে একে একে আরো সাতটি হাতি নিচে পড়ে যায়।
বাচ্চাসহ ছয়টি হাতি সেখানেই মারা যায়। দুটি হাতি ঝর্ণার পাশে সরু খাঁড়িতে উঠে প্রাণপণে জীবন রক্ষার চেষ্টা করছিল। দেখতে পেয়ে উদ্যানের কর্মকর্তারা তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে উপরে তোলেন।
‘হেউ নারক’ নামের ওই জলপ্রপাতটিতে এর আগেও এ রকম একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৯২ সালে এই জলপ্রপাতে একই সঙ্গে আটটি হাতির প্রাণহানি হয়েছিল।
পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ছয়টি হাতির মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি হাতি শাবক ছিল। প্রথমে শাবকটি পা পিছলে জলপ্রপাতের খাদে পড়ে যায়। এরপর ওই শাবককে বাঁচাতে একে একে অন্য হাতিরা খাদে পড়ে বলে তাদের ধারণা।
থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্লান্ট কনজারভেশনের (ডিএনপি) কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে একপাল হাতি হেউ নারক ঝর্ণার পাশের রাস্তা আটকে রাখলে উদ্যানের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
তার তিন ঘণ্টা পর তিন বছর বয়সের বাচ্চা হাতিটির মৃতদেহ নিচে ঝর্ণার পানিতে খুঁজে পাওয়া যায়। বাকি পাঁচটি হাতির মৃতদেহও আশপাশেই খুঁজে পান কর্মকর্তারা। বেঁচে যাওয়া হাতি দুইটির চিকিৎসা চলছে এবং সেগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
উদ্যানটির মালিক এডউইন উইক বিবিসিকে বলেন, ‘এটা অনেকটা পরিবারের অর্ধেক সদস্যদের হারিয়ে ফেলার মতো। এখানে করার কিছুই ছিল না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটাই নিয়তি।’
থাইল্যান্ডে প্রায় সাত হাজার এশিয়ীয় হাতির বাস। যেগুলোর অর্ধেকের বেশি নান উদ্যানে বা অভয়াশ্রমে বন্দি রয়েছে। -বিবিসি