অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২০, ১১:১৯

ছবি: বিবিসি
বিরোধপূর্ণ নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে ঘিরে শুরু হওয়া সংঘাতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ১০ ঘণ্টার আলোচনা শেষে দুই দেশ এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে রুশ পররাষ্টমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, দুই দেশ এখন বিবদমান বিষয়গুলো নিয়ে ‘অর্থপূর্ণ আলোচনা’ শুরু করছে।
দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা বিরোধের জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুইদেশের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে তিনশ'র বেশি মানুষ মারা গেছেন ও হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মরদের উদ্ধার ও বন্দী বিনিময়ের সুবিধার জন্য স্থানীয় সময় আজ শনিবার দুপুর থেকে এই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত হলেও এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত থাকা দুই দেশ সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য একে অপরকে দায়ী করে আসছিল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই দুই দেশের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
আর্মেনিয়াতে রাশিয়ার একটি সেনা ঘাঁটি রয়েছে ও দুই দেশই কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সদস্য। তবে আজারবাইজানের সাথেও মস্কোর সম্পর্ক ভালো।
গতকাল শুক্রবার (৯ অক্টোবর) আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মস্কোতে আলোচনা চলতে থাকলেও সারাদিনই যুদ্ধ চলেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়া অভিযোগ তুলেছিল যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নাগরনো-কারাবাখে একটি ঐতিহাসিক গির্জায় হামলা চালিয়েছে। শুশা শহরের হোলি সেভিয়র ক্যাথেড্রালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়।
একই সময়ে আজারবাইজান জানায়, তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজা ও গোরানবয় অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সৈন্যরা শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আজারবাইজান।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এই নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখলকে কেন্দ্র করে যুদ্ধে জড়িয়েছিল আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। তবে শেষপর্যন্ত যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বিরোধের সমাধান হয়নি কখনো।- বিবিসি