সুপার টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়িঘর। ছবি : আল জাজিরা
ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০০ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৫৬ জন।
দেশটির স্থানীয় পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর অঞ্চলটিতে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়, প্লাবিত হয় বহু গ্রাম, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। এর তাণ্ডবে অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অন্তত ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
দুর্যোগকবলিত এলাকায় এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কয়েক হাজার সংশ্লিষ্ট সদস্য উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
পুলিশের মুখপাত্র রডেরিক আলবা জানান, দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুপার টাইফুন রাই ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। টাইফুনে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বোহোল রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেই মারা গেছেন ৪৯ জন। ঘূর্ণিঝড় রাই-র আঘাতে চার লাখ ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দেশটিতে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তেতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪০ কোটি মিলিয়ন ডলার ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ফিলিপাইনে প্রায়ই শক্তিশালী ঝড় হয় । বছরে গড়ে ২০ টি ঝড় আঘাত হানে এ দেশটিতে। চলতি বছর দ্বীপপুঞ্জটিতে আঘাত হানা ১৫তম টাইফুন রাই।
গত বছরের নভেম্বরে সুপার টাইফুন গনিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানি দেখেছিল ফিলিপাইন। ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানে নিহত হয়েছিল ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। -বিবিসি