ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা ‘গ্রিন জোনে’ মার্কিন দূতাবাসের কাছে কয়েক দফা রকেট হামলা হয়েছে। 

এছাড়া মার্কিন সেনা অবস্থান নেয়া জাদ্রিয়া এলাকা ও বালাদ বিমান ঘাঁটিতেও রকেট হামলা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই হামলা হয়। 

ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রিন জোনে মোর্টার হামলার পরপরই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত মার্কিন বিমান ঘাটিতে রকেট হামলা হয়। হামলার পরপর বাগদাদের মার্কিন নাগরিকদের বসবাসের এলাকাগুলোয় সাইরেন বাজানো হয়েছে।

বাগদাদের উত্তরে বালাদ অঞ্চলে রকেট দুটি ছোড়া হয়। সেখানে মার্কিন বিমান ঘাটি রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বাগদাদের জাদ্রিয়া এলাকায় একটি মর্টার আঘাত হেনেছে এবং এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

এএফপির প্রতিবেদনে এক সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, রকেটের উৎপত্তিস্থল খুঁজতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন পাঠানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পরদিন এই হামলা হল।

ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার সোলেমানিকে হত্যার ঘটনাকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখছে ইরাকের প্রতিবেশী দেশটি। রক্তের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা। 

গত শুক্রবারের ওই হামলায় সোলেমানির সঙ্গে ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে ওই হামলায় নিহত ১০ জনের লাশ নিয়ে বাগদাদে শোক মিছিল হয়। মিছিলে যোগ দেয়া লোকজনের মধ্যে আল-মুহান্দিসের পিএমএফের উর্দি পরা অনেক সদস্যও ছিলেন। অনেকের হাতে সোলেমানি ও মুহান্দিসের ছবি দেখা যায়। মিছিলে থাকা সাঁজোয়া যানগুলোতেও তাদের ছবি শোভা পাচ্ছিল।

ইরানের প্রতিশোধের হুমকির জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে আরো তিন হাজার অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের ইরাক ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। -এএফপি ও বিবিসি