আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সার্কসিয়ান হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন। একজন সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রপ্রধান হতে তাকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করলেন তিনি।
ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগের মুহূর্তগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতার অভাব অনুভব করেছেন।
গতকাল রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সার্কসিয়ান বলেন, তিনি আবেগতাড়িত হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেননি বরং সুনির্দিষ্ট কারণে পদত্যাগ করেছেন। কারণ আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের কোনও ক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়ে প্রায় চার বছর ধরে চিন্তাভাবনা করার পর তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর্মেনিয়ার সংবিধান দেশের প্রেসিডেন্টকে কাজ করার যথেষ্ট ক্ষমতা ও স্বাধীনতা দেয়নি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সংবিধান সংশোধন করে দেশের জন্য এমন আইন প্রণয়ন করা হবে যাতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসন আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে পারবে।
২০১৮ সালে আর্মেনিয়ার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সার্কসিয়ান দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সংবিধান অনুযায়ী তার ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে দাঁড়ালেন।
আর্মেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রেসিডেন্টের পদটি অনেকটা আলঙ্কারিক।
ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানের সঙ্গে চলা দ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী আজারবাইজানের সঙ্গে নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আর্মেনিয়ার। যুদ্ধের পর প্রেসিডেন্টের পরামর্শ ছাড়াই সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সার্কসিয়ানের মধ্যে। -পার্সটুডে
বিষয় : আর্মেনিয়া প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh