সামরিক শাসন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

সামরিক শাসন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার পর জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এদিকে ক্ষমতা ছাড়তে তার ওপর চাপও বাড়ছে। 

ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো। প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিষয়ে ইউন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল। এ জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

প্রেসিডেন্ট উইন আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার ফলে যেকোনো আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কি না; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে অবশ্যই না...আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এ কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

সেই থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা চলছে। প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের তৎপরতা শুরু করেছে বিরোধী জোট। পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ইউনের মেয়াদ পূর্ণ হতে আরও দুই বছর বাকি।

এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গতকালের জরুরি বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টিও (পিপিপি) তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দলটির প্রধান হান ডং-হুন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে ইউনের থেকে যাওয়া ‘অসম্ভব’ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

এ কারণে প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করাটা আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh