থাই প্রধানমন্ত্রীর ৫৭ কোটি টাকার ঘড়ি বিলাস

নিজের সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেওয়া এই ঘোষণা অনুযায়ী, পেতংতার্নের সম্পত্তির মূল্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে (প্রায় ৪ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা)। এসব সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০টিরও বেশি বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ব্যাগ এবং কমপক্ষে ৭৫টি দামি ঘড়ি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ব্যক্তিগত জীবনে একজন টেলিকম ব্যবসায়ী এবং থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা। তাঁর সম্পত্তি ও দায় ঘোষণা করতে বাধ্য হন।

পেতংতার্নের ৭৫টি ঘড়ির মূল্য থাইল্যান্ডের মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি ২০ লাখ বাথ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৫৭ কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে তার বিলাসবহুল ২১৭টি ব্যাগের মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৬০ লাখ থাই বাথ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যাগগুলোর মূল্য প্রায় ২৭ কোটি টাকা।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের লন্ডন এবং জাপানেও পেতংতার্নের সম্পত্তি রয়েছে। আর তাঁর নগদ অর্থ ও আমানতের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৩৫৪ কোটি টাকারও বেশি।

বিভিন্ন ব্যবসায় পেতংতার্নের বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি থাই বাথ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

এই মুহূর্তে থাই প্রধানমন্ত্রীর ঋণের পরিমাণ ৫০০ কোটি থাই বাথ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকার বেশি। ফলে ঋণের পরিমাণ বাদ দিলে পেতংতার্নের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯০ কোটি থাই বাথ, যা ৩ হাজার ১৫৭ কোটি টাকারও বেশি।

গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন পেতংতার্ন। গত ২০ বছরের মধ্যে সিনাওয়াত্রা পরিবারের চতুর্থ সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

পেতংতার্নের বিলাসবহুল সম্পত্তির এই ঘোষণা জনগণের মধ্যে আলোচনা তৈরি করেছে এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রতি নতুন করে মনোযোগ এনেছে।

পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা একসময় ইংলিশ লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক ছিলেন। থাইল্যান্ডের দশম ধনী ব্যক্তি তিনি। ফোর্বসের তথ্যমতে, থাকসিনের মোট সম্পত্তির মূল্য প্রায় ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। শিন কর্প টেলিকমিউনিকেশন সাম্রাজ্যের আয় দিয়ে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে নির্বাসিত হন। তবে নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও পরিবারসহ রাজনীতিতে তিনি তার প্রভাব ধরে রেখেছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh