যুদ্ধ বিরতির দিনই হামলায় নিহত ১০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির দিনই দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে ১০ ব্যক্তি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তাদের নামের তালিকা না দেওয়ায় গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে দখলদার সেনারা।

হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, সকালে যে সময় থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা ছিল, সেই সময় থেকে বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে ছয়জন গাজা সিটিতে, তিনজন উত্তরাঞ্চলে এবং একজন রাফায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, মন্ত্রীসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) অভিযান থামানোর নির্দেশ দেননি নেতানিয়াহু। তিনি বলছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম হামাস ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।

এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কারিগরি সমস্যার কারণে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন জিম্মির নাম প্রকাশে দেরি হয়েছে।

বিবিসি বলছে, যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হলো মুক্তি দেওয়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জিম্মিদের নাম ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে হবে। তবে সময়মত এই তালিকা ইসরায়েলের হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এমনকি কোথায় বন্দি বিনিময় হবে, সেটাও গতকাল রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। 

এর আগে, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, এই ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’। যুদ্ধবিরতির কোনো শর্তের লঙ্ঘন হলে আবার গাজায় হামলা চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উভয়ে সমর্থন করবেন। আমরা যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও জোরালো।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ৪২ দিনের বিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর এসব বক্তব্যে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই উদ্যোগ।

দখলদার ইসরায়েল এর আগে জানায়, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। তাই সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; তাদের সেনারা হামলা অব্যাহত রাখে। এতে করে যুদ্ধবিরতিটি শুরু হওয়ার দিনই ১০ জন নিহত হয়েছেন। যারা আশা করছিলেন আজকে থেকে গাজায় নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবেন। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh