
ফার্স্ট এইড রুম। ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে সম্প্রতি চালু হয়েছে মেট্রোরেল। মোট ২২ কিলোমিটারের এ পরিবহন ব্যবস্থার পৌনে ১২ কিলোমিটার অংশে শুরু হয়েছে চলাচল।
মেট্রোরেলে উঠতে ও নামতে সকল স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। সব স্টেশনে থাকছে দুটি লিফট, দুটি এস্কেলেটর ও দুটি সিঁড়ি। এছাড়া স্টেশনে আছে আলাদা এক কক্ষ, যেখানে রয়েছে শুধু চিকিৎসার সরঞ্জাম।
কোনো যাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও নয়টি স্টেশনেই রাখা হয়েছে 'ফার্স্ট এইড রুম'। আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম।
তবে প্রচারণা না থাকায় যাত্রীদের বেশিরভাগই জানেন না এ বিষয়ে।
সম্প্রতি উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কন্ট্রোল রুমের পাশে রয়েছে ফার্স্ট এইড রুম যাতে রয়েছে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম।
এরমধ্যে রয়েছে সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে তুলা, সেভলন, ডেটল ব্যান্ডেজ, কাঁচি, চেয়ার টেবিল, রোগীর শয্যা ও স্ট্রেচার।
জানা যায়, কেউ সহায়তা নিতে চাইলে রোভার স্কাউট সদস্যদের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে।
ফার্স্ট এইডের সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রোভার স্কাউট সদস্য মাকনুন বলেন, সেভাবে রোগী আসছে না। প্রথম চারদিনে আঙুল কেটে যাওয়ায় একজন এসেছিলেন।
তিনি বলেন, উনাকে আমরা ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোভার স্কাউট সদস্য হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ছয় মাস মেয়াদী কোর্স করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ কক্ষটির কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কী কী জিনিসপত্র লাগবে সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। সেই তালিকা কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথিবীর কোথাও মেট্রোস্টেশনে ডাক্তার বা নার্স থাকে না, প্রশিক্ষিত জনবল সেবা দেয়।
তিনি বলেন, যে কেউ নিজে গিয়েও ফার্স্ট এইডটা নিতে পারে। এখানে দুই ধরনের লোক কাজ করবে। এখন আছে স্কাউট ওনাদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ আছে। তাদের পাবেন। তার সঙ্গে দেখবেন ইউনিফর্ম পরা লোক আছে। তাদেরও ট্রেনিং দেওয়া আছে। যাদেরকে আমরা বলি ফেসিলেটেটর, তাদের বললেই তারা সহায়তা করবে।
তিনি জানান, এমআরটি সিস্টেমে কোনও দেশে ফার্স্ট এইডের জন্য লোক বসিয়ে রাখা হয় না।