
খিলক্ষেত এলাকায় যানজটে আটকে থাকা গাড়ির সারি কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মহাখালী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খিলক্ষেত এলাকায় যানজটে আটকে থাকা গাড়ির সারি কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ছাড়িয়ে যায়।
খিলক্ষেত ও বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দলে দলে মানুষ গাজীপুরের টঙ্গীতে আসছেন, এর প্রভাব পড়েছে সড়কে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যানজটের কারণে অনেককে ফ্লাইট ধরার জন্য মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত হেঁটে যেতে দেখা গেছে। মূলত আজ ভোররাত ২টা থেকে এই যানজট শুরু হয়েছে। তবে, সকালে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সকাল পৌনে ৮টায় সরেজমিনে দেখা যায়, খিলক্ষেতে যানজটে আটকে আছে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহন। সড়কের অপর পাশে আব্দুল্লাহপুর থেকে বনানীগামী লেনেও দেখা যায় ধীরগতি। অনেক মানুষকে গাড়ির অপেক্ষায় ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ধীরগতিতে চলা গাড়ির সামনে দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গন্তব্যের বাসে উঠতে।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বাসের ওঠার চেষ্টা করেছেন ফরিদা বেগম।
তিনি বলেন, বনানী যাইব। কিন্তু বাস যা আসতেছে সব ভরা। আমার বয়স হইছে হুড়াহুড়ি কইরা তো উঠতে পারি না।
এয়ারপোর্ট বাসে শাহবাগ যাচ্ছিলেন মো. আলম। তিনি বলেন, ধাক্কাধাক্কি করে ঝুঁকি নিয়ে বাসে উঠলাম।
বেলা ১১টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দেখায় যায়, মহাখালী থেকে বিমানবন্দর হয়ে উত্তরাগামী লেনে যানবাহন কার্যত স্থবির হয়ে আছে। অনেক যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।
ভোর রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট বেলা ১১টা নাগাদ বিমানবন্দর এলাকা ছাড়িয়ে মহাখালী, রামপুরা ও মিরপুর রুটে কালশী পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।
খিলখেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, বিশ্ব ইজতেমার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। টঙ্গি এলাকা থেকে গাড়ি সামনের দিকে এগোতে পারছে না।