২০৩০ সালে সোলার থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালিয়েন্সের (আইএসএ) মধ্যে কান্ট্র্রি পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিপিএ) চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালে সোলার থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

তিনি  বলেন, সৌরবিদ্যুৎ সম্প্রসারণে আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে আমাদের জমির স্বল্পতা রয়েছে। এর জন্য যেসব জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব, আমরা সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

সৌরবিদ্যুতের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে আমরা নেট মিটারিং গাইডলাইন আকর্ষণীয় করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা সংশোধন করার মতো উদ্যোগ নিয়েছি।

কৃষিতে সৌরবিদ্যুৎ কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়, সে বিষয়েও কাজ করার কথা জানান নসরুল হামিদ।

এদিকে আইএসএ পরিচালক অজয় মাথুর বলেন, আইএসএ-র প্রথম দিকের সমর্থক দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এই চুক্তির ফলে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা আরও দৃঢ় হবে এবং সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে সৌরশক্তির বিস্তারে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হব।

সারা বিশ্বে সৌরশক্তির ব্যবহার খুব দ্রুত প্রাধান্য লাভ করছে এবং এর দাম প্রতিনিয়ত কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৌর প্রযুক্তি, বিশেষ করে রুফটপ সোলার প্রযুক্তির বিকাশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। রেগুলেটরি সহায়তার মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। সম্মিলিতভাবে আমাদের লক্ষ্য হলো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সচল করা এবং বর্ধিত কলেবরে সৌরশক্তির আত্তীকরণ।

চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এ চুক্তির ফলে সৌরশক্তিনির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং সেগুলোর জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সহজ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।