
জাতীয় বীমা দিবস। ছবি: সংগৃহীত
‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির উদ্বোধন করবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সমন্বয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালন হবে। গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রিুয়ারি) আইডিআরএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী জানান, জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
তিনি আরও জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে নিষিদ্ধ থাকাকালে সর্বস্তরের জনগণকে সংগঠিত করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে এ অঞ্চলের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। তারিখটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সরকার ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশে বীমা কোম্পানির সংখ্যা এখন ৮১টি। এরমধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানি আছে ৩৫টি। আর নন-লাইফ বীমা ৪৬টি। গত কয়েক বছরে নানামুখী সংকটের মধ্যেও জীবন বীমার তহবিল ও সাধারণ বীমার সম্পদ দুটিই বেড়েছে। এমনকি ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময়ও বিশ^^জুড়ে মোট বীমা প্রিমিয়ামের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি যেখানে ৩ দশমিক ৪ ভাগে নেমে এসেছিল, সেখানে বাংলাদেশে বীমা প্রিমিয়ামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ভাগ। যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ৪ ভাগ।
জয়নুল বারী বলেন, ২০২২ সালের শেষে গ্রস প্রিমিয়ামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে লাইফ বীমার গ্রস প্রিমিয়ামের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর নন লাইফে এ পরিমাণ ৫ হাজার ৪১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা সংকটের এ সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় তারল্যের জোগান দিচ্ছে।
তিনি বলেন, লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির অর্জিত প্রিমিয়ামের ওপর ২০২২ সালে ১ হাজার ৩০৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ভ্যাট ও ট্যাক্স সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। বিগত বছরে লাইফ এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো সম্মিলিতভাবে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮৬৯টি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে। তিনি আরও বলেন, এ সময়ে দেশের অর্থনীতিতেও এই খাতের অবদান বেড়েছে। দেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ বীমার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের।