
গুলিস্তানের দুর্ঘটনাস্থলের নিখোঁজদের অপেক্ষায় তাদের স্বজনরা।ছবি: সংগৃহীত
এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ। সবশেষ গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া। এসব বিস্ফারণ নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো ঘটনা, জনমনে রয়েছে এমন নানা প্রশ্ন। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে তদন্ত। কারণ জানতে এখন তা শেষ হওয়ার অপেক্ষা।
সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণ হয় শনিবার, সে আগুন প্রাণ যায় ৭ জনের। পরদিন রবিবার, রাজধানীর সাইন্সল্যাবে বিস্ফোরণ, নিহত ৩। এর একদিন পর আবার কেঁপে উঠলো গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া। কুইন্স মার্কেটের এই বিস্ফোরণে ধসে পড়ে ৭ তলা ভবনের প্রথম ৩ তলা।
একের পর এক এই বিস্ফোরণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন থাকলেও, সুনির্দিষ্ট করে এখনও কেউ কিছু বলতে পারছে না।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জানাচ্ছেন, এটি বিস্ফোরণ না নাশকতা, জানা যাবে তদন্তের পর। র্যাব, পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা।
বিস্ফোরণে ৭ তলা ভবনটির কলাম ভেঙে পড়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, ভবন মালিকের দাবি, সেখানে কোনো গ্যাস লাইন ছিলো না। এছাড়া সেখানে বিস্ফোরকের আলামতও পায়নি সেনাবাহিনী।
এক সপ্তাহের মধ্যে তিন তিনটি বিস্ফারণ নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে আছে অন্যকিছু তা জানতে এখন তদন্ত শেষ হওয়ার অপেক্ষা।
এদিকে, বিস্ফোরণে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্ট, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সায়েন্স ল্যাব এবং গুলিস্তানের এ ঘটনা আন্দোলনের ব্যর্থ বিএনপির নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
অন্যদিকে, গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। সরকারের বিভাগগুলো কোনো কাজ না করে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ায় একের পর এক দুর্ঘটনা ও প্রাণহাণির এসব ঘটনা ঘটছে। সরকারের ব্যর্থতায় ঢাকা বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।