রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমানকে তুলে নিয়ে গেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

এর আগে, গতকাল রাতে বার্ন ইন্সটিটিউট থেকে ধসে পড়া ভবনের বাংলাদেশ স্যানিটারি নামে এক দোকানের মালিক আব্দুল মোতালেব মিন্টুকে প্রথমে তুলে নেয়ে ডিবি লালবাগ বিভাগ।  এছাড়া আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছে ডিবি।

আজ বুধবার (৮ মার্চ) ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুণ অর রশীদ দুজনকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ভবনটির মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত এক ব্যক্তি। তিনি মারা যাওয়ার পর তার তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান মালিক হন। তাদের মধ্যে বড় ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও ছোট ভাই মতিউর রহমান ভবনটি পরিচালনা করেন। মেজো ভাই মশিউর রহমান লন্ডনপ্রবাসী।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা কাউকে আটক করিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা বাড়ির মালিক, দোকান মালিকদের ডেকেছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলছি।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, তাদের কাছে আমরা জানতে চাইব, বাণিজ্যিকের নিয়মমতো বেসমেন্টে দোকান দেওয়ার কথা না, সুয়ারেজ লাইন, সেপটিক ট্যাংকি, ওয়াটার রিজার্ভার- এগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হতো কিনা তা আমরা জানতে চাইব। কার অবহেলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

এছাড়া বাহির থেকে কেউ এটা ঘটিয়েছে কিনা বা এসব ঘটানোর সুযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। 

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এলাকায় সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত, আহত হয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক। এছাড়া কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।