ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কাতার সফরে বৈঠকে দেশটির আমির শেখ তামিম ইবনে হামাদ আল থানি এ আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। কাতার সফর নিয়েই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ৪ মার্চ কাতারে যান। সফরকালে জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যোগ দেন প্রবাসীদের সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

ব্যস্ত সূচিতে সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী ৮ মার্চ দেশে ফেরেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, যোগাযোগ অবকাঠামো, ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আমাদের সরকারের নেয়া বিভিন্ন সুদূরপ্রসারী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করি। আমাদের উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা এবং ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য খাতের স্বার্থে ট্রিপস অব্যাহতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই।

কাতার প্রবাসীদের সংবর্ধনায় যোগ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাতার প্রবাসীদের অবদান রাখার জন্য আমি আহ্বান জানাই। অভিবাসনে ইচ্ছুকদের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা নিয়ে বৈধপথে বিদেশ গমন, হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংক বা মানি ট্রান্সফার এজেন্সির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে স্বাগতিক দেশের আইনকানুন মেনে চলার অনুরোধ জানাই।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা করোসিসহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এ সম্মেলনে আমরা রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে এলডিসি থেকে উত্তরণ ও এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেছি।