আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:৩৮

গণমাধ্যমে কথা বলছেন বিএনপিপন্থী নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিষয়টি সমাধান, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, নির্যাতন ও সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সাথে আলোচনা করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতির কক্ষে প্রবেশ করেন বিএনপিপন্থী নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাদের সাথে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
প্রধান বিচারপতির কক্ষ ও আপিল বিভাগের এজলাসের বাইরে সে সময় কয়েকশ বিএনপিসমর্থক আইনজীবী অপেক্ষা করছিলেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধান বিচারপতি গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শুনেছেন। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা সবকিছু শুনেছেন। প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের বলেছেন- যে তিনি এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলবেন। এরপর উনার কিছু করণীয় থাকলে তা জানাবেন।
এরপর ব্যারিস্টার খোকন প্রধান বিচারপতিকে বলেছেন- যে তিনি উদ্যোগ না নিলে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য নষ্ট হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। দেশবাসীর কাছে বিচার বিভাগের মর্যাদা নষ্ট হবে। পুরোদেশ জাতি সুপ্রিম কোর্টের এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
অপরদিকে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সামনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের স্লোগান, পাল্টা স্লোগান, ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি চলছে।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের আট বিচারপতি এজলাসে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বুধবারের (১৫ মার্চ) পুলিশের হামলা ও মামলার কথা তুলে ধরেন এবং আইনজীবীদের নিরাপত্তা চান।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতিকে সম্বোধন করে বলেন, আমরা আপনার আদালতের আইনজীবী। আপনি আমাদের অভিভাবক। আমরা কি এমন অপরাধ করেছি? গতকাল পুলিশ আইনজীবীদেরকে নির্যাতন করল। নারী আইনজীবীরাও রেহাই পাননি। আমি পুলিশকে বলেছি, আমি সম্পাদক প্রার্থী। তারপরও আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়েছে। বার ভবনে আমাদের রুমগুলো লক করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনবলেন, আমি নিজেও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজও আমি ভালো করে হাঁটতে পারছি না। গতকাল পুলিশ মিলনায়তনের ভেতরে আইনজীবীদের পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করেছে। সাংবাদিক, নারী আইনজীবীদেরও লাঠিচার্জ করেছে।