ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ে সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৩

ছবি: সংগৃহীত
ঈদ উল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিতে পারে সরকার। এজন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের কাছে এ–সংক্রান্ত নথিপত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ–সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে ঈদুল ফিতরের আগেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে পারে। মোটরসাইকেল সেতুর দুই প্রান্তের আলাদা দুটি লেন দিয়ে চলাচল করবে বলে ওই প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি সভা হয়েছে। ওই সভায় সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে, ৬ মার্চ সচিবালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুতে বাস-ট্রাকসহ প্রায় সব ধরনের যান চলাচল করছে। তবে বন্ধ আছে মোটরসাইকেল চলাচল। মোটরসাইকেল চালকেরা বিকল্প হিসেবে ট্রাকে করে মোটরসাইকেল পারাপার করছেন। সেতুতে মোটরসাইকেলের নির্ধারিত টোল ১০০ টাকা হলেও ট্রাকে একটি মোটরসাইকেল পার করতে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ অবস্থায় রাজস্ব হারাচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মোটরসাইকেলচালকদের আট–দশ গুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।
এর আগে, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনে অন্তত ৪৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ২৭ হাজার। ওই দিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাতায়াত করা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।