তিস্তায় খাল খনন, দিল্লির কাছে জবাব চাইবে ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৭

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় দুটি নতুন খাল কেটে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবর সঠিক কি না, তা দেশটির কাছে জানতে চাইবে ঢাকা। এ লক্ষ্যে দিল্লিকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পানি বণ্টন বিষয়ে বাংলাদেশ অংশের বহুপক্ষীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ থেকে আরো দুটি খাল খননের বিষয়ে ভারতের পত্রিকার সংবাদ আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। কিন্তু আমরা অফিসিয়ালি ভারতের কাছ থেকে জানতে পারিনি।
জাহিদ ফারুক বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যটি সত্য কি না, তা জানার পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বাংলাদেশ। এ কারণে ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য পাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করবো না। আগে ভারত থেকে তথ্য পাই, তারপরে বলবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি পাঠাব। আজই এ সংক্রান্ত চিঠিতে আমি সই করব। পরে সেই চিঠি পাঠানো হবে।
যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে সেটা উদ্বেগের কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সেটা উদ্বেগের বিষয় হবে। কিন্তু আমরা সবসময় আমাদের বন্ধু ভাবাপন্ন রাষ্ট্র হিসেবে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার নীতিতে চলি। সেটা যদি না হয়, তাহলে আমাদের তো অপশন আছে। কী অপশন আছে, সেটা তো আপনাদের (সাংবাদিকদের) বলব না।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় জলমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তুতিও চলছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ভারতীয় পক্ষকে বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবে তারা মৌখিকভাবে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক দিন-তারিখ নির্ধারণ হলে আপনারা জানতে পারবেন।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতে সঙ্গে পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের দুইটি পথ, টেকনিক্যাল আলোচনা ও রাজনৈতিক আলোচনা। আমার মতে এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ রাজনৈতিক আলোচনা। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টেকনিক্যাল আলোচনার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এভাবে বাংলাদেশ ভালো অবস্থান বজায় রাখতে পারবে না।
সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যমে খবর এসেছে, কৃষি কাজের জন্য পানি সরাতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খনন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ। এ উদ্যোগ ভারতের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কৃষি খামারকে সেচের আওতায় আনতে সাহায্য করবে।