করোনায় মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে বেশি আসায় মানুষ আতঙ্কিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ১৫:০১

ফাইল ছবি
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।
তিনি বলেন, মানুষ যেমন এতে আক্রান্ত হয়, সুস্থও হয়ে যায়। আক্রান্তের হারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বেশিরভাগই পূর্ব থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত বা বয়স্ক।
গুজবে কান না দিতে সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কোথায় কে কি বলছে, সেসব বিশ্বাস না করে কেবল সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যা বলা হচ্ছে, আমরা যা বলছি, সেটাই বিশ্বাস করবেন।
আজ শনিবার (৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআর সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন। এ সময় আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে। আমরা এসব রোগীদের নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে, সেসব থেকে জেনেছি- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেশি বয়স্কদের। যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বারবার গণমাধ্যমে আসায় জনগণ আতঙ্কিত হচ্ছে। কিন্তু গণমাধ্যমে এটা আসছে না, কী পরিমাণ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
ডা. ফ্লোরা জানান, এখন পর্যন্ত সাতজন প্রবাসী বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। তার বয়সও বেশি। তিনি পূর্ব থেকেই শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগতেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালির অবস্থা উদ্বেগজনক। সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশি প্রবাসীদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে
এই চিকিৎসক বলেন, করোনা আক্রান্ত হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, বিষয়টা এরকম না। তাকে আলাদা করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের সহায়তায় তার চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। আমাদের সচেতন হতে হবে। অপরিস্কার হাতে চোখ নাক মুখ দিবেন না। পারতপক্ষে এখন বিদেশ ভ্রমণ করবেন না। কোথাও একান্তই যদি যেতে হয়, ভ্রমণকালীন সতর্কতা অবলম্বন করেন।