খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৪

প্রতীকী ছবি
খাদ্যদ্রব্য অবৈধ মজুতের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও জানান, ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ এ দুটি আইনের সংমিশ্রণে নতুন আইনটি করা হয়েছে। আইনে মোট ২০টি ধারা আছে বলে জানান তিনি।
মাহবুব হোসেন বলেন, খাদ্যদ্রব্য মজুতের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তা হলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে আমাদের দানাদার খাদ্যদ্রব্য যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন, বিতরণ সংক্রান্ত যেসব অপরাধ আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত করে সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।